মাইক্রোসফট তাদের ওয়েবসাইটে লিখেছে, হালনাগাদ সফটওয়্যার ও নিরাপত্তা প্রোগ্রাম হালনাগাদ না থাকলে উইন্ডোজ ৭ মেশিনে ভাইরাস ও ম্যালওয়্যার আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়।
ক্যাসপারস্কি ল্যাবের সিনিয়র গবেষক ডেভিড এম বলেছেন, ব্যবহারকারীদের দ্রুত মাইক্রোসফট সমর্থন করে এমন অপারেটিং সিস্টেমে চলে যাওয়া উচিত।
সফটওয়্যার নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান ট্রেন্ড মাইক্রো ভাইস-প্রেসিডেন্ট রিক ফার্গুসন বলেন, আক্রান্ত পিসি ব্যবহার করলে দ্রুত আক্রমণ হতে পারে।
স্ট্যাটকাউন্টের তথ্য অনুযায়ী, প্রতি চার মেশিনের অন্তত একটি এখনো উইন্ডোজ ৭-এ চলছে।
বিবিসির তথ্য অনুযায়ী, হ্যাকাররা উইন্ডোজ ৭ এর সফটওয়্যার ত্রুটি ব্যবহার করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে দীর্ঘদিন ধরেই। এখন থেকে উইন্ডোজ ৭ এর নিরাপত্তা ত্রুটি খুঁজে পেলেও মাইক্রোসফট আর তা ঠিক করবে না।
মাইক্রোসফট বলছে, ১৪ তারিখের পর উইন্ডোজ সেভেনর চালিত পিসি পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যাবে না, তবে তা আর নিরাপদ থাকবে না। তাই মাইক্রোসফট দ্রুত উইন্ডোজ ১০ সফটওয়্যার হালনাগাদ করে নেয়ার পরামর্শ দিচ্ছে। মাইক্রোসফট তাদের নতুন অপারেটিং সিস্টেমের দাম রাখছে ১২০ মার্কিন ডলার। এ ছাড়া নতুন পিসি কেনার পরামর্শও দিচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি।
যুক্তরাজ্যের কর্তৃপক্ষ উইন্ডোজ সেভেন ব্যবহারকারীদের পিসি থেকে ইন্টারনেট ব্যাংকিং ও ই-মেইল পাঠানোর বিষয়ে সতর্ক করেছে। দেশটির সাইবার নিরাপত্তা কেন্দ্রের পরামর্শ হচ্ছে, ১৪ জানুয়ারি ডেডলাইনের পর থেকে অসমর্থিত ডিভাইস যত দ্রুত সম্ভব বদলে ফেলতে হবে। এ ছাড়া স্পর্শকাতর অ্যাকাউন্ট এসব পিসি থেকে না চালানোই ভালো।
পরামর্শ উইন্ডোজ ৭ থেকে যারা ইন্টারনেট ব্রাউজ করেন, তাদের ম্যালওয়্যার আক্রমণের আশঙ্কা দিন দিন বেড়ে যাবে। এভাবেও কম্পিউটার চালানো যাবে। শুধু মাইক্রোসফটের সফটওয়্যারগুলোর হালনাগাদ পাওয়া যাবে না। তা ছাড়া অন্য যেকোনো সফটওয়্যার বা তৃতীয় পক্ষের কোনো অ্যান্টি-ভাইরাস সফটওয়্যার ব্যবহার করা যাবে। ২০২৩ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত পুরোনো সংস্করণের উইন্ডোজও ব্যবহার করা যাবে।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উইন্ডোজ সেভেন থেকে সমর্থন প্রত্যাহারের ফলে এ অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহারকারীদের পিসি নিরাপত্তা ঝুঁকির মধ্যে পড়ে যাবে।
বার্তা কক্ষ, ১৫ জানুয়ারি ২০২০