‘ঈদ-শোক’ দিবসে সতর্ক থাকবে পুলিশ

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কেউ যাতে প্রপ্রাগান্ডা বা গুজব রটাতে না পারে সেদিকটা বিশেষ নজরদারির আওতায় আনতে হবে। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে পুঁজি করে যারা গুজব রটিয়ে ফায়দা লোটার চেষ্টা করেছিল তাদের দ্রুত আইনের আওতায় আনতে হবে। সোশ্যাল মিডিয়ার ওপর নজরদারি আরো বাড়াতে হবে। কোরবানির পশুবাহী পরিবহনে চাঁদাবাজি বন্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

গতকাল শনিবার সকালে পুলিশ সদর দপ্তরের সম্মেলন কক্ষে ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস পালন এবং ঈদুল আজহা উদ্‌যাপন উপলক্ষে আইন-শৃঙ্খলা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনাসংক্রান্ত সভায় পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের এসব নির্দেশনা দেওয়া হয়।

সভায় পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী সভাপতিত্ব করেন। সভায় উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সদর দপ্তরের অতিরিক্ত আইজিপি (প্রশাসন) মোখলেসুর রহমান, অতিরিক্ত আইজিপি (এফঅ্যান্ডডি) মইনুর রহমান চৌধুরী, র‌্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ, ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া, রেলওয়ে পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি মোহাম্মদ আবুল কাশেম, এপিবিএন পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি সিদ্দিকুর রহমান, এটিইউর অতিরিক্ত আইজিপি মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম, শিল্পাঞ্চল পুলিশের ডিজি আবদুস সালামসহ পুলিশের বিভিন্ন সংস্থার ঊর্ধ্বতন প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

সভায় আইজিপি জাবেদ পাটোয়ারী বলেন, ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস পালন উপলক্ষে বিভিন্ন স্থানে চেকপোস্ট, ব্লক রেইডসহ সর্বোচ্চ নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শোক দিবসের অনুষ্ঠান ও কাঙালি ভোজ যেন নির্বিঘ্ন ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয় সেজন্য জেলা পুলিশ সুপারদের নজরদারি বাড়াতে হবে। কাঙালি ভোজের খাবার সিভিল সার্জন দ্বারা পরীক্ষা করাতে হবে।

আইজিপি বলেন, ঈদুল আজহা উৎসবমুখর পরিবেশে উদ্যাপনের লক্ষ্যে পুলিশ কর্মকর্তাদের নিষ্ঠা ও পেশাদারির সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে হবে। সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ ছাড়া মহাসড়কে কোরবানির পশুবাহী ট্রাক থামানো যাবে না। তিনি বলেন, সড়ক, রেল, নৌপথ, পশুর হাট এবং ঈদ জামাতস্থলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।

বৈঠকে উপস্থিত ডিআইজি পদমর্যাদার এক কর্মকর্তা বলেন, বৈঠকে গুজব বা প্রপাগান্ডা চালানো ব্যক্তিদের রুখতে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়। নির্ধারিত ঘাট ছাড়া কোরবানির পশু ওঠানামা রোধ, পশুর হাটে অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প স্থাপন, পশুর হাট ইজারাদার কর্তৃক হাসিল হার প্রদর্শন, নির্ধারিত হারের অতিরিক্ত হাসিল আদায় না করা, কোরবানির পশু ব্যবসায়ীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, পশুর হাটে জাল নোট শনাক্তকরণ মেশিন স্থাপন এবং যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রাখা ইত্যাদি বিষয়ে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। কোরবানির পশু পরিবহনে চাঁদাবাজি রোধ, পরিবহনের গায়ে উৎসস্থল ও গন্তব্যস্থলের নামসংবলিত ব্যানার সংযুক্ত করতে হবে। চামড়া যাতে সীমান্তমুখী না হয় সে ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্যও নির্দেশ প্রদান করা হয়। নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠনের কার্যক্রম নিবিড়ভাবে মনিটরিংয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ঈদে বিনোদন কেন্দ্রগুলোর নিরাপত্তাব্যবস্থাও জোরদার করার সিদ্ধান্ত হয়।

বার্তা কক্ষ

Share