সারাদেশে এক যোগে গত শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) পালিত হয়েছে ঈদুল আযহা। আর ঈদকে গিরে চাঁদপুরে সংসদ সদস্য এবং রাজনৈতিক নেতারা ভিন্নমাত্রায় ধর্মীয় এই উত্সবটি পালন করেছেন।
নেতা-কর্মীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা আর কুশল বিনিময়ের পাশাপাশি তারা আগামী নির্বাচনে ভোট প্রার্থনায় অংশ নিতে দেখা গেছে। গত চারদিন জেলার বিভিন্ন স্থানে এমন চিত্র দেখা গেছে।
চাঁদপুর-১ কচুয়ায় সংসদ সদস্য ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম হোসেন তাদের অনুসারীদের নিয়ে এক ধরনের ভোটের গণসংযোগ করেছেন। তবে সেখানে বিএনপির কোনো নেতাকে মাঠে দেখা যায়নি।
চাঁদপুর-২ মতলব উত্তর ও দক্ষিণে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী, সংসদ সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া এবং বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ড. জালাল উদ্দিন ঈদের নামাজ শেষে নেতা-কর্মীদের নিয়ে পৃথকভাবে সাধারণ মানুষের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেছেন।
চাঁদপুর-৩ সদর ও হাইমচরে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, সংসদ সদস্য ডা. দীপু মনি ঈদে না এলেও মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) তিনি নিজ এলাকায় নানা কর্মসূচিতে অংশ নেন। নেতা-কর্মীদের নিয়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে তিনি সদর ও হাইমচরের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে বেড়ান। এসব অনুষ্ঠানের একটিতে তিনি রোহিঙ্গাদের এদেশে আশ্রয় প্রসঙ্গে বলেন, এটি কোন টেকসই সমাধান নয়। তাদেরকে নিজ দেশে প্রত্যাবর্তনের জন্য সেই দেশের সরকারকেই ব্যবস্থা নিতে হবে। এর কোনো বিকল্প নেই।
এ ছাড়া আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা সুজিত রায় নন্দী এবং জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শেখ ফরিদ আহমেদ মানিক ঈদের দিন থেকে শুরু করে মঙ্গলবার পর্যন্ত বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ঘুরে কুশল বিনিময় করেছেন।
চাঁদপুর-৪ ফরিদগঞ্জ সংসদ সদস্য ড. মোহাম্মদ শামছুল হক ভূঁইয়া তার নেতা-কর্মীদের নিয়ে, বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য লায়ন হারুনুর রশিদ, কেন্দ্রীয় নেতা মোতাহার হোসেন পাটোয়ারী এবং জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট জাহিদুল ইসলাম রোমান তাদের অনুসারীদের নিয়ে বিভিন্নজনের সঙ্গে টানা তিন দিন কুশল বিনিময় করে চলেছেন।
চাঁদপুর-৫ হাজীগঞ্জ ও শাহরাস্তিতে সংসদ সদস্য মেজর (অব) রফিকুল ইসলাম এলাকায় না এলেও নেতা-কর্মীদের নিয়ে ঘুরে বেড়িয়েছেন, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সহ-সম্পাদক, বঙ্গবন্ধু টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিষ্ঠাতা ইঞ্জিনিয়ার সফিকুর রহমান, নারী আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট নুরজাহান বেগম মুক্তা, পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসেন এবং জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মামনুল হক।
খোঁজ নিয়ে এবং কয়েকজন সংসদ সদস্য আর রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে কথা বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে, এই ঈদের দিন থেকে মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত চারদিন অনুসারীদের নিয়ে ঘুরে বেড়ালেও মুলক আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট প্রার্থনা ছিল তাদের ভিন্নধর্মী এই কর্মসূচি। তাই শুভেচ্ছা আর কুশল বিনিময়ের আড়ালে এটি ছিল এক ধরনের গণসংযোগ। (কালের কণ্ঠ)
নিউজ ডেস্ক
: আপডেট, বাংলাদেশ ১১ : ৫০ পিএম, ০৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৭ মঙ্গলবার
এইউ