আনন্দ ধারার হিল্লোল তুলে আবারও দুয়ারে ঈদুল ফিতর। বৃহস্পতিবার দেশে ঈদ উদযাপিত হবে। তবে আষাঢ়ের বৃষ্টি ঈদের দিনও অব্যাহত থেকে আনন্দে বাধা হতে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।
সমুদ্রবন্দরগুলোতে বুধবারও তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত বহাল রেখেছে আবহাওয়া অধিদফতর। একই সঙ্গে বুধবার সকাল থেকে আগামী ২৪ ঘণ্টায় দেশের বিভিন্ন স্থানে ভারি থেকে অতি ভারি বৃষ্টির পূর্বাভাসও দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া উপকূলীয় কয়েকটি জেলায় স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ২ থেকে ৩ ফুটের বেশি উচ্চতার জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হতে পারে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ।
বুধবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে- রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
সে সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও ভারি থেকে অতি ভারি বর্ষণ হতে পারে। আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম মল্লিক বলেন, বুধবার দেশের অধিকাংশ জায়গায় বৃষ্টি হতে পারে।
বৃহস্পতিবার খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগে বেশি মাত্রায় বৃষ্টি থাকবে। তবে ওইদিন থেকে ঢাকা, সিলেট, রাজশাহী, রংপুর বিভাগে বৃষ্টির তীব্রতা কমে আসবে।
দেশের উপর মৌসুমী বায়ু (বর্ষা) সক্রিয়, সঙ্গে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে অবস্থানরত লঘুচাপের কারণে দেশে বেশি বৃষ্টি হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন এ আবহাওয়াবিদ।
সাধারণত মসজিদ ছাড়াও ঈদের জামাত খোলা আকাশের নিচে ঈদগাঁয়ে অনুষ্ঠিত হয়। তাই ঈদের দিন বৃষ্টি হলে দুর্ভোগে পড়বেন মুসল্লিরা। বৃষ্টির কারণে বাইরে ঘোরাঘুরি ও আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গে দেখা সাক্ষাৎ করতে না পারলে শিশুসহ সব বয়সের মানুষের ঈদ আনন্দে ভাটা পড়বে।
এদিকে বুধবার সকাল ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশেই বৃষ্টি হয়েছে। সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে টেকনাফে ১৪৮ মিলিমিটার। এ সময়ে ঢাকায় ৫১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
নিউজ ডেস্ক : আপডেট, বাংলাদেশ সময় ৩:৫০ পিএম, ৬ জুলাই ২০১৬, বুধবার
ডিএইচ
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur