Home / চাঁদপুর / ঈদে নাড়ির টানে বাড়ির পথে যানজট!
Ed-News-2018

ঈদে নাড়ির টানে বাড়ির পথে যানজট!

দিন পেরোলেই মুসলমানের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতর। সারা দেশের ন্যায় ঈদের আনন্দে মেতে উঠতে প্রস্তুত ইলিশের বাড়ি চাঁদপুরের সিকি কোটি মানুষ। প্রিয় মানুষ আর স্বজনদের সাথে ঈদ উৎসব ভাগ করে নিতে চাঁদপুরেও বড় হচ্ছে নাড়ির টানে বাড়ি ফেরা মানুষের মিছিল।

দেশের বিভিন্ন প্রান্তে জীবিকার প্রয়োজনে কর্মজীবী এই মানুষগুলো প্রতি বছরই ঈদ এলে নিজ গ্রামের বাড়ি ফিরে আসেন। ফলে এই সময়টাতে অতিরিক্ত মানুষের উপস্থিতিতে চিরচেনা চাঁদপুরের দৃশ্যপট অনেকটাই পাল্টে যায়। ঈদের এক সপ্তাহ আগে এবং পরে এই ১৫ দিন চাঁদপুর শহর হয়ে উঠে লোকে লোকারণ্য।

অন্যান্য বছরের মতো এবছরও মাহে রমজানের মধ্যভাগ থেকেই বাড়তি মানুষের চতুর্মুখী চাপে অনেকটাই ক্লান্ত হয়ে উঠেছে প্রাচীণ এই শহরটি। এদিকে মানুষ বাড়ার সাথে পাল্লা দিয়ে যানজট বেড়ে যাওয়া শহরবাসীর ভোগান্তি চরম পর্যায়ে পোঁছে গেছে। চাঁদপুর শহরে এখন যেদিকে চোখ যায় শুধু ছোট যানবাহন আর মানুষের স্রোত।

বিগত দিনের অভিজ্ঞতায় দেখা যায় চাঁদপুর জেলার ট্রেন স্টেশন, লঞ্চঘাট ও বাসস্টেশন, শহরের প্রানকেন্দ্র কালিবাড়ি এলাকার কাছাকাছি হওয়ায় সারা বছর ছোট্ট এই শহরটিতে যানজট লেগেই থাকে। তাছাড়া মত্রাতিরিক্ত সিএনজি অটোরিক্সাও এই যানজটের অন্যতম কারণ বলে মনে করেন সচেতন মহল।

Janzot-chandpur

বৃহস্পতিবার চাঁদপুর-কুমিল্লা মহাসড়ক থেকে তোলা।

একাধিক সূত্র থেকে জানা যায়, চাঁদপুর শহরে এখনো প্রায় সহ¯্রাধিক লাইসেন্স বিহীন সিএনজি আটো-রিক্সা অবৈধবাবে চলাচল করছে। তাছাড়া ধারণ ক্ষমতার চেয়েও কয়েকগুণ বেশি সিএনজি, অটোরিক্সা, ব্যাটারী চালিত অটোবাইক শহরের চলাচল করায় নিত্যদিন এখানে যানজট লেগেই থাকে।

বৃহস্পতিবার (১৪ জুন) সকাল থেকে রাত পর্যন্ত শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলো যানজট লেগেই ছিলো। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য শহরের শহীদ মুক্তিযোদ্ধা সড়কের হকার্স মার্কেট থেকে শুরু করে ছায়াবানী মোড়, গনি মডেল উচ্চ বিদ্যালয় থেকে শুরু করে মহিলা কলেজ সড়ক পর্যন্ত আর কালিবাড়ি শপথ চত্ত¡র থেকে পাল বাজার ব্রিজের গোড়া পর্যন্ত এ স্থানগুলোয় হরহামেশায় যানজট লেগেই থাকে।

এদিকে অতিরিক্ত মানুষের চাপ আর যানজট নিয়ন্ত্রনে রাখতে চাঁদপুর জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও পৌর কর্তৃপক্ষ এবং জেলা স্কাউটকে ভূমিকা রাখতে দেখা গেছে। প্রতিটি সড়কের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। রয়েছে কমিউনিটি পুলিশ ও স্কাউট সদস্যরাও।

তবে নিকট ভবিষৎতের কথা চিন্তা করে ছোট্ট এই শহরটিতে অতিরিক্ত রিক্সা, অটোবাইক ও সিএনজিগুলো নিয়ন্ত্রন করা প্রয়োজন বলে মনে করছেন সচেতন মহল। তাদের দাবি আগামী দিনের কথা বিবেচনায় রেখেই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এই বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

প্রতিবেদক : আশিক বিন রহিম

Leave a Reply