ঈদুল ফিতর মঙ্গলবার উদযাপন হলেও কর্মস্থল থেকে বাড়িতে আসার স্রোত এখনও কমেনি। নৌ, রেল ও সড়ক পথে সুবিধামতো লোকজন আসছেন।
৪ মে বুধবার বিকেলে চাঁদপুর লঞ্চঘাটে গিয়ে দেখা গেছে, ঢাকা থেকে চাঁদপুরে আসা হাজার হাজার মানুষের ভিড়। বিকেল পৌনে ৫টায় ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা এমভি ময়ূর-৭ ঘাটে ভিড়লে কমপক্ষে তিন থেকে সাড়ে তিন হাজার যাত্রী নেমেছে এ লঞ্চ থেকে।
ঈদের আগে যেমন যাত্রী ছিল আজও ওই পরিমাণ যাত্রী আসছে প্রতিটি লঞ্চে করে।
ঢাকা থেকে আসা ফরিদগঞ্জের বাসিন্দা মুকবুল হোসেন বলেন, ঢাকায় তার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান আছে, যে কারণে তা রেখে বাড়িতে আসতে পারেননি।
স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে ঢাকায় ঈদ উদযাপন করেছেন। বাড়িতে বাবা-মায়ের সঙ্গে ঈদের বাকি আনন্দ ও কয়েকদিন বেড়াবেন।
চাঁদপুর সদরের বালিয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা জহিরুল ইসলাম বলেন, গার্মেন্টস আইটেমের একটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। চাঁদ রাতে বেচা বিক্রি ভালো ছিল। যার কারণে বাড়িতে আসতে পারেননি। পরিবারের লোকজন ছাড়া ঈদ উদযাপন করা তার কাছে খুবই কষ্ট লেগেছে। তারপরও চাকরি করার কারণে বাধ্য হয়ে থাকতে হয়েছে। এখন কয়েকদিন বাড়িতে থেকে পুনরায় কর্মস্থলে যাবেন।
এমভি ময়ূর-৭ এর মালিকের প্রতিনিধি আজগর আলী বলেন, সকাল থেকে যে কয়টি লঞ্চ ঢাকা সদরঘাট থেকে ছেড়ে এসেছে সবগুলোতেই যাত্রী ছিল। করোনার কারণে গত দুই বছর যাত্রী ছিল না। কিন্তু এর আগে স্বাভাবিক অবস্থায় সব সময়ই ঈদের পরে ঘরমুখো মানুষের ভিড় থাকে। আগামী শনিবার থেকে আবার চাঁদপুর থেকে ঢাকাগামী যাত্রীর সংখ্যা বাড়বে।
এদিকে লঞ্চঘাট ঘুরে দেখা গেছে প্রচুর পরিমাণ সিএনজিচালিত অটোরিকশা, অটোবাইক ও রিকশা যাত্রীর জন্য অপেক্ষা করছে। বিশেষ করে লক্ষ্মীপুর ও ফরিদগঞ্জের লঞ্চের যাত্রীদের জন্য একমাত্র বাহনই হচ্ছে অটোরিকশা। লঞ্চ থেকে যাত্রীরা নামা মাত্রই লক্ষ্মীপুর ও ফরিদগঞ্জ বলে চালকরা ডাকা ডাকি করছে। লঞ্চঘাটের আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে নৌ-পুলিশ, আনসার ভিডিপি সদস্যরা।
চাঁদপুর বন্দর ও পরিবহন কর্মকর্তা একেএম কায়সারুল ইসলাম বলেন, ঢাকা-চাঁদপুর যাতায়াতের জন্য সিডিউলের সবগুলো লঞ্চই চলাচল করছে। যাত্রীদের আসা-যাওয়ায় কোনো সমস্যা হচ্ছে না। পুলিশ, কোস্টগার্ড, ফায়ার সার্ভিস ও আনসার সদস্যরা নিয়মিত লঞ্চঘাটে দায়িত্ব পালন করছেন
চাঁদপুর করেসপন্ডেট, ৪ মে ২০২২