পবিত্র ঈদুল আজহার দিনটিতে আগামীকাল (বুধবার) দেশের অনেক স্থানে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। আজ (মঙ্গলবার) থেকে দেশের অনেক জেলায় বৃষ্টিপাতের আবহ তৈরি হতে পারে। আবহাওয়া বিশেষজ্ঞ সূত্র একথা জানায়।
এদিকে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা থাকায় কোরবানিদাতারা বাসাবাড়ির আশপাশে ত্রিপল টাঙ্গিয়ে কোরবানি পশু জবাইয়ের পর গোশত কাটাকুটির প্রস্তুতি নিয়ে রাখছেন। তাছাড়া ঈদুল আজহার জামাতে নামাজের জন্যও মসজিদের ভেতরে আয়োজন অথবা মাঠে-ময়দানে ত্রিপল টাঙ্গানো হচ্ছে।
উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও সংলগ্ন গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ বরাবর অবস্থানরত লঘুচাপটির সক্রিয় প্রভাবে আবহাওয়া গতকাল (সোমবার) থেকে কিছুটা পাল্টে গেছে। এ ধারা আরও কয়েকদিন অব্যাহত থাকতে পারে। বৃষ্টিপাতের কারণে দেশজুড়ে বিরাজমান ভ্যাপসা গরমের মাত্রাও সহনীয় পর্যায়ে নেমেছে। গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় রংপুর বিভাগ ছাড়া দেশের অধিকাংশ জেলায় হালকা থেকে মাঝারি কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ভারী ধরনের বৃষ্টিপাত হয়েছে।
এ সময় দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয় নিকলিতে ৮০ মিলিমিটার। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল সিলেটে ৩৫.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকায় সর্বোচ্চ ও সর্বনি¤œ তাপমাত্রা ছিল যথাক্রমে ৩৩.১ এবং ২৭.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া বিভাগ জানায়, মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের ওপর মোটামুটি সরিয়ে এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারী থেকে জোরালো অবস্থায় রয়েছে।
সর্বশেষ আবহাওয়া পরিস্থিতি সম্পর্কে আবহাওয়াবিদ মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক জানান, উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও সংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত লঘুচাপটি বর্তমানে উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও সংলগ্ন গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ উপকূলীয় এলাকায় অবস্থান করছে। এটি ঘনীভূত হয়ে উত্তর, উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় বায়ুচাপের তারতম্যের আধিক্য অব্যাহত রয়েছে।
উত্তর বঙ্গোপসাগর, বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্র বন্দরসমূহের উপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। সেই সাথে তাদেরকে গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে।
বার্তা কক্ষ