ঈদের দিন থেকে সোশাল মিডিয়ায় বেশকিছু ছবি ভাইরাল হয়েছে। পবিত্র ঈদুল আজহার পশু কোরবানিতে জবাইকৃত পশুর সঙ্গে কিছু ছবি প্রকাশ করা হয়েছে।
এই ছবিতে কোরবানি হওয়া পশুর সাথে হাস্যরসের ছবি দেওয়া হয়েছে। যারা এসব ছবি তুলেছেন এবং ফেসবুক বা ইন্সটাগ্রামে পোস্ট করেছেন তারা খুব বেশি বয়সের নন। এদের মধ্যে টিনএজার রয়েছেন। আর দু-একজনের বয়স ২২ পর্যন্ত হতে পারে।
তবে বয়স যাই হোক, এই ধরনের ছবি ফেসবুকে প্রকাশ হয়ে গেলে ভাইরাল হয়ে যায়। আর সমালোচনার চেয়ে অশ্লীল বাক্যবাণেই জর্জরিত হন ভিকটিম। একজন ফেসবুক ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘ছবিতে যেমন নৃশংসতা প্রকাশ পেয়েছে তেমনি প্রকাশ পেয়েছে ওইসব তরুণ-তরুণীর ইমম্যাচিওরিটি। আদতে তারা সেভাবে ম্যাচিওরডও নন। এ ক্ষেত্রে ওইসব তরুণ-তরুণীদের এসব কার্যকলাপ থেকে বিরত হবার শিক্ষাটা দিতে হবে পরিবার থেকে।’
আরেকজন সোশ্যাল মিডিয়া ইন্সটাগ্রামে লিখেছেন, ‘এখানে ভাল মন্দের একটা বিষয় রয়েছে, বোঝাতে হবে কোনটা ভালো আর কোনটা মন্দ। বোঝাতে হবে ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের বিষয়টা। এ ক্ষেত্রে সোশাল মিডিয়ায় আলোচনায় এলে দায়িত্বটা পড়ে যায় অনলাইন অ্যাকটিভিস্টদের ওপর।’
একইভাবে আরেকজন ছবিগুলো প্রকাশ করে ফেসবুকে লিখেছেন, ‘অনেকেই মন্তব্য করে বোঝাতে চেষ্টা করেন যে এটা ফেসবুক, এটা একটা পাবলিক প্ল্যাটফরম। এখানে আপনার ইমম্যাচিওরিটি প্রকাশ করা ঠিক না। এটা যেমন ঠিক তেমনই ঠিক নিজের মন থেকে লালন করা সঠিক এবং বেঠিক কাজগুলো।’