সারাদেশ

ঈদের আগে বাস ও লঞ্চ চলাচলের সম্ভাবনা ক্ষীণ

ঈদের আগে বাস ও লঞ্চ চলাচল শুরু হওয়ার সম্ভাবনা নেই বলে মনে করছেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় এবং সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের কর্মকর্তারা। করোনাভাইরাস বিস্তার রোধের কারণেই মূলত এসব গণপরিবহন চালু হচ্ছে না বলে জানান তারা।

দুই মন্ত্রণালয়ের একাধিক কর্মকর্তা জানান,দেড় মাসের বেশি সময় গণপরিবহন বন্ধ।

বিভিন্ন জায়গায় মানুষ আটকে আছে। এখন চালু করা হলেই মানুষ যাতায়াতের জন্য হুমড়ি খেয়ে পড়বেন। এতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে গণপরিবহন চালানো সম্ভব হবে না। এছাড়া সামনে ঈদ। গণপরিবহন চালু হলে অনেকেরই ঈদের ছুটিতে বাড়িতে যাওয়ার প্রবণতাও সৃষ্টি হবে। এসব কারণে আপাতত গণপরিবহন চালুর সম্ভাবনা নেই বলে জানান তারা।

এ বিষয়ে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ্ উদ্দিন বলেন,ঈদের আগে বা ঈদে লঞ্চ চলাচল শুরুর অনুমতি দেয়ার মতো পরিকল্পনা আমাদের নেই। সরকারের নির্দেশনা আছে আন্তঃজেলা চলাচল কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণের। আমরাও সেই নির্দেশনা প্রতিপালন করে আসছি। লঞ্চ চলাচল শুরু হলে আন্তঃজেলা চলাচল নিয়ন্ত্রণ করার সুযোগ থাকবে না।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন,এখনই লঞ্চ চলাচলের অনুমতি দেয়া হচ্ছে না এটা বলতে পারেন। সারা দেশে বাস, লেগুনা, সিএনজিচালিত অটোরিকশার মতো গণপরিবহন চলাচল নিয়ন্ত্রণ করে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)।

ঈদের আগে সড়কে গণপরিবহন চলাচল শুরুর বিষয়ে জানতে চাইলে বিআরটিএর চেয়ারম্যান মো.ইউছুব আলী মোল্লা বলেন, গণপরিবহন চলাচলের বিষয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত পাইনি। সরকারের সিদ্ধান্ত পেলে সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে সরকারি ছুটির দিন ২৬ মার্চ থেকে সড়কে গণপরিবহন বন্ধ করা হয়। কয়েক দফা মেয়াদ বাড়ানোর পর ১৬ মে পর্যন্ত লকডাউন কার্যকর রয়েছে। এরপর সরকারি ছুটি বাড়লে গণপরিবহনের ওপরও লকডাউনের মেয়াদ বাড়তে পারে। এদিকে দেশের বিভিন্ন স্থানে গণপরিবহন চালুর পক্ষে শ্রমিকরা রাস্তায় আন্দোলন করে চাপ সৃষ্টির চেষ্টা করছেন।

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, গাড়ি চলাচল না করায় শ্রমিকদের আয় বন্ধ হয়ে গেছে। এছাড়া সরকারি ও বেসরকারি ত্রাণও পর্যাপ্ত পাননি। তাই অর্থ সংকটের কারণে আন্দোলন করছে। বিভিন্ন জেলায় শ্রমিকদের ত্রাণ দেয়া হয়েছে।

অপরদিকে যাত্রীবাহী নৌযান চলাচলের ওপর অনির্দিষ্টকালের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে রেখেছে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়।

ঢাকা ব্যুরো চীফ,১৪ মে ২০২০

Share