জাতীয়

ঈদের আগে খুলছে না বসুন্ধরা সিটি আর যমুনা ফিউচার পার্ক

ঢাকায় কেনাকাটার জনপ্রিয় বিপণিবিতান বসুন্ধরা সিটি শপিং কমপ্লেক্স পবিত্র ঈদুল ফিতরের আগে খুলছে না। বসুন্ধরা সিটি কর্তৃপক্ষ ও দোকান মালিক সমিতি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

বসুন্ধরা সিটির দোকান মালিক সমিতির সভাপতি এম এ হান্নান আজাদ মবলেন,‘করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে আমরা যৌথভাবে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

ঈদের আগে যমুনা ফিউচার পার্ক কর্তৃপক্ষ মানুষের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে মলটি না খোলার এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

শপিংমল কর্তৃপক্ষ জানায়, ঈদবাজারে শপিংমলে ভিড়ে ব্যাপকভাবে করোনাভাইরাস সংক্রমিত হতে পারে। এই আশঙ্কা থেকেই ঈদকে ঘিরে শপিংমল না খোলার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

করোনাভাইরাসের কারণে গত ২৬ মার্চ থেকে শুরু হওয়া সাধারণ ছুটিতে দোকানপাট ও বিপণিবিতান বন্ধ রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত সোমবার ঈদের কেনাকাটার জন্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিতভাবে দোকানপাট খোলা হবে বলে জানান।

এরপর ১০ মে থেকে বিপণিবিতান খুলে দেওয়ার আনুষ্ঠানিক নির্দেশনা দেওয়া হয়। এ নিয়ে বিতর্কও হচ্ছিল।

এম এ হান্নান আজাদ জানান, বসুন্ধরা সিটিতে ১ হাজার ৬০০ দোকান ব্যবসায় সক্রিয় রয়েছে। এসব দোকানের সঙ্গে ২৫ হাজার মালিক ও কর্মচারী যুক্ত, যাঁরা প্রতিদিন বসুন্ধরায় প্রবেশ করেন। এ ছাড়া রোজায় দৈনিক কয়েক লাখ লোক কেনাকাটা করতে বসুন্ধরায় যান।

১৯৯৮ সালে বসুন্ধরা সিটির নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ২০০৪ সালে এটি জনসাধারণের কেনাকাটার জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। বিভিন্ন পণ্যের দোকান ছাড়াও বসুন্ধরা সিটিতে শরীরচর্চাকেন্দ্র, মাল্টিপ্লেক্স সিনেমা হল, শিশুদের বিনোদনকেন্দ্র ও খাবারের দোকান রয়েছে।

বসুন্ধরা গ্রুপের উপদেষ্টা (তথ্য ও গণমাধ্যম) মোহাম্মদ আবু তৈয়ব বলেন, বসুন্ধরা সিটি লাখ লাখ লোকের সমাগম ঘটে। এতে ব্যাপকভাবে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ চিন্তা থেকেই বসুন্ধরার চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তিনি বলেন, বসুন্ধরার কাছে মানুষের সেবাই বড় কথা, ব্যবসা নয়।

Share