ঈদ-উল আযহার দিন শনিবার (০২ সেপ্টেম্বর) সকালে কোরবানি নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন মানুষ। সেদিন বিকেল থেকেই রূপালী ইলিশের রাজধানী খ্যাত চাঁদপুরের বড় স্টেশন মৎস্য আড়তে ভিড় জমাচ্ছেন তারা। যা অব্যাহত আছে ঈদের দ্বিতীয় দিন রোববার (০৩ সেপ্টেম্বর)।
ফলে ক্রেতাদের আগমনে জমজমাট হয়ে উঠেছে ইলিশের প্রধান বাজারটি।
আত্মীয়-স্বজন ও জেলার বাইরে থেকে ঈদ করতে আসা কেউই ইলিশের স্বাদ থেকে বঞ্চিত হতে চান না। ঈদের খাবারেও তাই থাকছে রূপালী ইলিশ। তবে দাম বেশি হওয়ায় চাহিদামতো কিনতে পারছেন না অনেকে। ভরা মৌসুমে ইলিশের আমদানি কিছুটা কম থাকায় দাম বেড়েছে বলে জানান ব্যবসায়ীরা।
দুপুর আড়াইটায় সরেজমিনে মৎস্য আড়তে গিয়ে ক্রেতা-বিক্রেতাদের ভিড় দেখা গেছে। আওয়াজ দিয়ে ইলিশের দাম হাঁকাচ্ছেন বিক্রেতারা। অধিকাংশ আড়তে পাইকারি বিক্রি হলেও আড়তের সামনে ছোট ছোট দোকান সাজিয়ে খুচরা বিক্রিও চলছে। দেশের বিভিন্ন স্থানে ইলিশের চালান পাঠাতে বাক্সভর্তিও করছেন শ্রমিকরা।
পাইকারি ইলিশ বিক্রেতা হুমায়ুন কবির জানান, ঈদের দিন বিকেলের পর থেকেই এখানে খুচরা ইলিশ ক্রেতাদের ভিড়। শহরের মাছের বাজারগুলোতে বেচা-বিক্রি কম থাকায় অনেকেই আত্মীয়-স্বজনকে ইলিশ খাওয়াতে আড়তে এসে হাজির হচ্ছেন। তবে বড় ইলিশের দাম একটু বেশি হওয়ায় অনেকেই চাহিদামতো কিনতে পারেননি। কারণ, কোরবানির খরচ শেষে তাদের পকেট ফাঁকা।
১ কেজি থেকে ১ কেজি ২০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ১ হাজার ৮০০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
ক্রেতা আব্দুল বারেক বলেন, ‘ব্যস্ততায় ঈদের আগে ইলিশ কেনা হয়নি। আত্মীয়-স্বজনেরা বাসায় এসেছেন। তাই বাজার দেখতে এলাম। দাম অনেক বেশি হওয়ায় ৩০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ কিনেছি ৪৫০ টাকা কেজি দরে’।
মৎস্য ব্যবসায়ী আব্দুল আজিজ বলেন, দক্ষিণাঞ্চলীয় ইলিশের আমদানি বাড়লে দাম অনেকটা ক্রেতাদের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে থাকে। তবে বড় সাইজের বেশিরভাগ ইলিশ রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় পাইকারি দরে চালান করছেন ব্যবসায়ীরা।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. সফিকুর রহমান বলেন, গত এক সপ্তাহ ইলিশের আমদানি কম। আবার মাঝে মাঝে বেড়ে যায়। তবে বড় ইলিশের চেয়ে ছোটগুলোই বেশি ধরা পড়ছে। চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনায় এ বছর বড় ইলিশের সংখ্যা খুবই কম। তবে গত বছর যে পরিমাণ পাওয়া গেছে, এ বছর তার চেয়ে কম পাওয়ার আশঙ্কাই বেশি।
সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
: আপডেট, বাংলাদেশ ১২ : ০২ এএম, ৪ সেপ্টম্বর ২০১৭, সোমবার
এইউ