চাঁদপুরে এই প্রথম ৩ দিন ঈদুল ফিতর উদযাপন

চাঁদপুরে সৌদির সাথে মিল রেখে দুদিন ঈদ উদযাপন হয়ে আসলেও এই প্রথম ৩ দিনব্যাপী ঈদুল ফিতর উদযাপিত হয়েছে। ১২ মে বুধবার হাজীগঞ্জে ঈদের দুই দিন আগে ৮ গ্রামের মানুষ ঈদ উদযাপন করে।

হাজীগঞ্জের ঐতিহাসিক সাদ্রা দরবার শরীফের বর্তমান পীর মুফতি মাও. জাকারিয়া চৌধুরী আল- মাদানী মঙ্গলবার গভীর রাতে চাঁদ দেখা গেছে মর্মে উপজেলার সাদ্রা, সমেশপুর, অলীপুর, বলাখাল, ভোলাচোঁ, ঝাকনি, সোনাচোঁ, প্রতাপপুর, বাসারা ও সুরঙ্গচাইল গ্রামে ঈদ পালিত হয়।

আরও পড়ুন… এবার সৌদির সাথে মিল না রেখেই হাজীগঞ্জের ৮ গ্রামের মানুষের আগাম ঈদ

বাংলাদেশে দুই দিন আগে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হওয়ার বিষয়ে সাদ্রা দরবার শরীফের বড় পীরজাদা পীর ড. বাকী বিল্লা মিসকাত চৌধুরী চাঁদপুর টাইমসকে বলেন, আফ্রিকার দেশ সোমালিয়া, নাইজেরিয়াতে চাঁদ দেখেছে বলে তারা ঈদ উদযাপন করেছেন।

অপরদিকে ১৩ মে বৃহস্পতিবার সৌদির সাথে মিল রেখে হাজীগঞ্জ ও ফরিদগঞ্জে ১৬ গ্রামে ঈদ উদযাপন হয়েছে। এই দুই উপজেলার হাজীগঞ্জ উপজেলার ছয়টি ও ফরিদগঞ্জ উপজেলার দশটি গ্রামে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।

সাদ্রা মাদ্রাসা ঈদগাহ ময়দানে ঈদের নামাজের ইমামতি করেন মাওলানা আরিফ চৌধুরী।

আরও পড়ুন… হাজীগঞ্জ ও ফরিদগঞ্জে ১৬ গ্রামে ঈদ উদযাপন

ওই সময় তিনি জানান, চাঁদ দেখে তারা প্রতি বছরের ন্যায় এবারও একদিন আগে ঈদ পালন করেছে। তবে যারা দুই দিন আগে ঈদ করেছে। তারা ভুল তথ্যের মধ্যে দিয়ে ঈদ পালন করেছে। আর সেই সংখ্যা খুবই কম। তার দেয়া তথ্যমতে বুধবার হাজীগঞ্জ উপজেলার শমেশপুর ও সাদ্রা এলাকার দু’টি গ্রামে ঈদের নামাজ আদায় করা হয়।

 

প্রসঙ্গত, ১৯২৮ সাল থেকে সাদ্রা পীর মাওলানা ইসহাক সাহেবের নেতৃত্বে প্রতি বছর সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে ধর্মীয় উৎসব পালন করে আসছে।

১৪ মে শুক্রবার এক মাস সিয়াম সাধনার পর সারাদেশের ন্যায় চাঁদপুরে যথাযোগ্য মর্যাদায় স্বাস্থ্য বিধি মেনে উদযাপিত হচ্ছে পবিত্র ঈদুল ফিতর। এদিন সকালে মসজিদে মসজিদে ঈদের নামাজে অংশ নিয়েছেন হাজারো ধর্মপ্রাণ মুসলমানেরা । করোনা পরিস্থিতিতে গত বছরের মতো এবছরও বিধিনিষেধ মেনেই নামাজ আদায় করতে দেখা যায়।

নামাজ শেষে মোনাজাতে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। পাশাপাশি সম্প্রতি বৈশ্বিক করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও নিহতদের জন্য দোয়া করা হয়। তবে ঈদের নামাজ শেষে চির পরিচিত দৃশ্য মুসল্লিদের হাত মেলানো ও কোলাকুলির দৃশ্য এবার চোখে পড়েনি। করোনার সংক্রমণ রোধে সরকারের স্বাস্থ্যবিধি মেনে এ থেকে বিরত থাকেন মুসল্লিরা।

স্টাফ করেসপন্ডেট,১৪ মে ২০২১

Share