এক মাস সিয়াম সাধনার পর শুক্রবার (১৪ মে) সারাদেশের ন্যায় মতলব দক্ষিণেও যথাযোগ্য মর্যাদায় স্বাস্থ্য বিধি মেনে উদযাপিত হচ্ছে পবিত্র ঈদুল ফিতর। এদিন সকালে মসজিদে মসজিদে ঈদের নামাজে অংশ নিয়েছেন হাজারো ধর্মপ্রাণ মুসলমানেরা । করোনা পরিস্থিতিতে গত বছরের মতো এবছরও নামাজ শেষে কোলাকুলির সেই চেনা দৃশ্য দেখা যায়নি।
ঈদুল ফিতরের নামাজে অংশ নিতে শুক্রবার সকাল ৭টার পর থেকেই মুসল্লিরা দলে দলে বিভিন্ন মসজিদে। করোমহারীর কারনে সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী মসজিদে মসজিদে ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। কোথাও বড় জামাত অনুষ্ঠিত হয় নাই। মতলব দক্ষিণ উপজেলায় প্রায় সহস্রাধিক মসজিদে ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মতলব বাজার শাহী জামে মসজিদ, উপজেলা পরিষদ জামে মসজিদ, মতলব দক্ষিণ থানা জামে মসজিদ, নবকলস ওওয়াপদা পাউবো জামে মসজিদ, ঢাকিরগাঁও সামাজিক জামে মসজিদ, মুন্সীরহাট বাজার জামে মসজিদ, নারয়ণপুর বাজার জামে মসজিদ, নায়েরগাঁও বাজার জামে মসজিদ, শাহপুর খানকা শরীফ জামে মসজিদসহ গ্রামের সকল মসজিদগুলোতে ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। মতলব বাজার শাহী জামে মসজিদে ইমামতি করেনম সজিদের খতীব আলহাজ্ব হযরত মাওলানা কবির আহমেদ, উপজেলা পরিষদ জামে মসজিদে ইমামতি করেন খতিব মুফতি মোরশেদ আলম সিরাজী, ওয়াপদা জামে মসজিদে ইমামতি করেন খতীব সায়েদ উল্লাহ। মসজিদগুলেতে সকাল ৭ টা থেকেই মুসুল্লিরা যেতে শুরু করেন।
নামাজ শেষে খুতবা পাঠ করা হয়। এরপর অনুষ্ঠিত হয় দোয়া ও মোনাজাত। তবে করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে নির্দেশনা মেনে নিরাপদ শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখেন মুসল্লিরা।
নামাজ শেষে মোনাজাতে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। পাশাপাশি সম্প্রতি বৈশ্বিক করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও নিহতদের জন্য দোয়া করা হয়। তবে ঈদের নামাজ শেষে চির পরিচিত দৃশ্য মুসল্লিদের হাত মেলানো ও কোলাকুলির দৃশ্য এবার চোখে পড়েনি। করোনার সংক্রমণ রোধে সরকারের স্বাস্থ্যবিধি মেনে এ থেকে বিরত থাকেন মুসল্লিরা।
প্রতিবেদকঃমাহফুজ মল্লিক