ঈদকে সামনে রেখে জমে উঠেছে চাঁদপুরের সেলাই কারখানাগুলো। ক্রেতাদের চাহিদা মেটাতে এখন পুরোদমে ব্যস্ত সময় পার করছে সেলাইশিল্পীরা।
করোনাকালে দেশের অন্যান্য জেলার মত অনেকটাই বন্ধ ছিল চাঁদপুরের দর্জি কারখানাগুলো। এতে বেকার হয়ে যান এই শিল্পে জড়িত হাজারো শ্রমিক।
গেল দুই বছর পর আবারের ঈদকে সামনে রেখে কারখানার দরজা খুলেছেন টেইলার্স মালিকরা, ফলে আগের উৎসবগুলোর মতোই ব্যস্ত দর্জিশ্রমিকরাও। গ্রাহক বেশি হওয়ায় মজুরিও ভালো পেয়ে খুশি তারা।
এদিকে পছন্দের পোশাক বানিয়ে নিতে টেইলার্সগুলোতে ভিড় করছেন গ্রাহকরা। বাড়তি চাপে তাই দিন-রাত সমানে কাজ করছেন এই পোশাক কারিগররাও। তবে টেইলার্স মালিকদের দাবি, কারিগরদের মজুরি, সুতাসহ অন্য উপকরণের দাম বাড়ায় পোশাক তৈরীতে বাড়তি মূল্য নিতে হচ্ছে।
শহরের পুরানবাজার লোহার পোল বাজারের নিউ মুনসান ট্রেইলামের মালিক রাজন বেপারী চাঁদপুর টাইমসকে জানান, গত দুই বছর করোনার মহামারির কারনে ঈদে আমাদের দোকারগুলো প্রায় বন্ধ ছিলো। যার ফলে এবার কাজের চাপটা একটু বেশি। যে পরিমাণ চাহিদা সেই পরিমাণ প্রডাকশন দিতে পারছি না। সকাল ১০টা থেকে রাত ১২টা-১টা পর্যন্ত কাজ করতে হয়।
তিনি আরো জানান, প্রতিটি সার্ট ও থ্রিপিসের মজুরি নেয়া হয় ৩০০ টাকা করে আর পেন্টের মজুরী নেয়া হয় ৪০০ টাকা করে।
গ্রাহকরা বলেন, ‘সামনে ঈদ টেইলার্স কাপড় সেলাই করতে চায় না। তার কারণে আগেভাগেই কাপড় সেলাই করিয়ে নিয়েছি।
করোনার দুই বছরের ক্ষতি পুষিয়ে নিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর প্রত্যয়ে রাত-দিন কাজ করছেন সবাই।
প্রতিবেদক: আশিক বিন রহিম,১ মে ২০২২