কোন ব্যক্তি বা কর্মকর্তার পেছনে ছুটে যেতে হবে হবে না আর। ট্রাফিক বিভাগের দূর্নাম গুচিয়ে স্বচ্ছতা ফিরিয়ে আনতে চালু হয়েছে ই-ট্রাফিক প্রসিকিউশন। দেশের যে কোন প্রান্ত হতে উপায় এজেন্টের মাধ্যমে জরিমানার টাকা পরিশোধ করতে পারবেন ট্রাফিক আইন ভঙ্গকারী ব্যক্তি। আর এতে করে ট্রাফিক বিভাগে স্বচ্ছতা ফিরে আসবে বলে জানান চাঁদপুর টিআই প্রশাসন।
ট্রাফিক বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ট্রাফিকের মামলা দায়ের জটিলতা ও জরিমানা পরিশোধের ভোগান্তি কমাতে মোবাইল ফাইনান্সিয়াল সার্ভিস প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান উপায় এর সাথে চাঁদপুর জেলা পুলিশের ২০২১ সালের ২০ জুন একটি চুক্তি হয়েছে। এই চুক্তির ফলে ট্রাফিক মামলার ফাইন উপায়-এর মাধ্যমে পরিশোধ করে তাৎক্ষণিকভাবে মামলা নিস্পত্তি করা যাবে। ইউসিবি ফিনটেক কোম্পানী লি (উপায়)-এর পরিচালনা পর্ষদের পরিচালক এটিএম তাহমিদুজ্জামান এফসিএস এবং চাঁদপুর জেলা পুলিশের পুলিশ সুপার মো. মিলন মাহমুদ, বিপিএম (বার) নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিটিতে স্বাক্ষর করেন। এসময় উপায় এর পক্ষে পরিচালক (বিজনেস সেল্স) সাদ মোহাম্মদ ফজলুল করিম, সহকারি পরিচালক (বিজনেস সেল্স) হাসান মো. জাহিদ এবং চাঁদপুর জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠনে উপস্থিত ছিলেন। চুক্তি স্বাক্ষরের পরে ২০২১ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর রবিবার দুপুরে চাঁদপুরে ই-ট্রাফিক প্রসিকিউশন কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মোঃ আনোয়ার হোসেন পিপিএম, বিপিএম (বার)। এ সময় তিনি চাঁদপুর ট্রাফিক পুলিশকে দশটি পস মেশিন প্রধান করেন।
নাম প্রকাশে অনিশ্চুক কয়েকজন চালক জানায়, আইন ভঙ্গ করলে মামলা হবেই, তবে এখন আর কারো পিছনে ছুটতে হবে না। উপায় এর মাধ্যমে টাকা দিয়ে দিলেই হবে। দুই চারদিন গাড়ি বন্ধ রাখতে হবে না। আমগো ভোগান্তি কমছে, এতেই আমরা খুশি।
চাঁদপুর ট্রাফিক বিভাগের টিআই মোঃ জহিরুল ইসলাম চাঁদপুর টাইমসকে জানায়, এখন আর লেখালেখির ঝামেলা পোহাতে হবে না। টিআই, সার্জেন্ট, টিএসআইসহ মোট ১২ জনের কাছে বর্তমানে পস মেশিন রয়েছে। এই মেশিনে চালকের নাম, ঠিকানা, গাড়ি নং টাইপ করে ট্রাফিক আইনের কোন ধারা ভঙ্গ হয়েছে তা উল্লেখ করলেই জরিমানাসহ মেশিনে চলে আসবে। জরিমানার টাকা ট্রাফিক আইন ভঙ্গকারী উপায় এজেন্টের মাধ্যমে প্রদান করলে পস মেশিনে তা চলে আসবে। আর এতে করে ট্রাফিক বিভাগে শতভাগ স্বচ্ছতা ফিরে আসবে।
তিনি আরো জানান, পস মেশিনের মাধ্যমে গত ১ মাসে চাঁদপুরে ৫৮টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। পস মেশিনে সড়ক আইন ২০১৮ এর মোতাবেক আইন ভঙ্গকারী সকল যানবাহনের বিরুদ্ধে আইন প্রয়োগ করা যাবে। এই মেশিনের মাধ্যমে যে কোন ব্যক্তির গাড়ির ও ড্রাইভিং লাইসেন্সের মেয়াদ আছে কি বা নাই তা সহজেই বের করা যায়। সবশেষ তিনি সকলকে ট্রাফিক আইন মেনে চলার অনুরোধ জানান।
সিনিয়র স্টাফ করেসপন্ডেট,২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২