Home / শীর্ষ সংবাদ / ইয়াবার নামে বিক্রি হচ্ছে জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি
yaba
প্রতীকী ছবি

ইয়াবার নামে বিক্রি হচ্ছে জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি

কয়েকমাস আগের ঘটনা। কক্সবাজারের টেকনাফে ইয়াবার চালান আটক করে আইন-শৃংখলা বাহিনী। জব্দকৃত ইয়াবার নমুনা পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য পাঠানো হয় রাজধানীর মহাখালীতে সিআইডির কেন্দ্রীয় রাসায়নিক পরীক্ষাগারে। প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে ইয়াবার উপাদান হিসেবে যা পাওয়া যায় তাতে চক্ষু চড়কগাছ সকলের।

ল্যাবরেটরি প্রধান কর্মকর্তাদের পুনরায় পরীক্ষা-নিরীক্ষার নির্দেশ দেন। কিন্তু ফলাফল একই। এবার সকলেই নিশ্চিত হন জম্মনিয়ন্ত্রণ বড়িকে রং মেখে ইয়াবা হিসেবে তৈরি করা হয়েছে।

মঙ্গলবার এ প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে রাসায়নিক পরীক্ষাগারের প্রধান দিলীপ কুমার ঘোষ জানান, ইয়াবার মূল উপাদান ‘অ্যামফিটামিন’ হলেও আইন শৃংখলাবাহিনীর পাঠানো ইয়াবার নমুনা জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ির মূল উপাদান ‘টেস্টটোস্টেরণ’পাওয়া গেছে।

তিনি আরো জানান, এক শ্রেণির প্রতারক ইয়াবাসেবীদের ঠকিয়ে ইয়াবার নামে জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি বিক্রি করছে। ইয়াবা ও জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ির আকার একই হওয়ায় পার্থক্য নির্ণয় করা যাচ্ছে না। নেশায় সার্বক্ষণিক বুদ হয়ে থাকা ইয়াবাসেবীরা যাচাই-বাছাই না করে বহুগুণ বেশি দামে এ নকল ইয়াবা কিনে সেবন করছেন। অঞ্চলভেদে প্রতি পিস ইয়াবা ৫০ থেকে সর্বোচ্চ ৭০০ টাকায় বিক্রি হয়।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঢাকা ও চট্টগ্রামের দুটি রাসায়নিক ল্যাবরেটরিতে ইয়াবাসহ বিভিন্ন মাদকদ্রব্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়। ঢাকা ল্যাবরেটরিতে প্রধানত পাঁচটি বিভাগ ঢাকা, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল ও রংপুর থেকে ইয়াবাসহ বিভিন্ন মাদকের নমুনা পরীক্ষার জন্য আসে।

প্রতিমাসে গড়ে ২০ থেকে ২৫টি নমুনা পরীক্ষার জন্য আসছে। ঢাকা ল্যাবরেটরিতে সর্বোচ্চ নমুনা আসছে রাজশাহী বিভাগ থেকে। ইয়াবা বিভিন্ন রংয়ের যেমন লাল, খয়েরী, গোলাপী, সবুজ, হলুদ ও কমলাসহ বিভিন্ন রংয়ের হয়ে থাকে। এ প্রতিবেদক সরেজমিন রাসায়নিক পরীক্ষাগারে ইয়াবা আসল-নকল পরীক্ষা পদ্ধতি দেখেন। মারকিউস নামক এ ধরনের পরীক্ষার মাধ্যমে ইয়াবার মূল উপাদান অ্যামফিটামিন শনাক্ত করা হয়। একটি পাত্রে জব্দকৃত নমুনা গুড়ো করে কেমিক্যাল মেশানো হয়।

ল্যাব প্রধান দিলীপ কুমার বিশ্বাস জানান, ইয়াবা যে রংয়েরই হোক না কেন কেমিক্যাল পরীক্ষার পর রং বদলে মরচে ধরা রং (রাস্ট কালার) এ পরিণত হয়। গতানুগতিক পদ্ধতিতে পরীক্ষার পর আধুনিক জিসি-এমএস (গ্যাস ক্রমোটোগ্রাফি/ম্যাস স্পেকট্রোমেট্রি) পরীক্ষা হয়।

চাঁদপুর টাইমস নিউজ ডেস্ক || আপডেট: ০৬:৫৩ পিএম,২৭ অক্টোবর ২০১৫, মঙ্গলবার

 এমআরআর