নির্বাচনে ৩ ধরনের ঝুঁকি চিহ্নিত করল ইসি
আসন্ন সংসদ নির্বাচনে মোবাইল কোর্ট আইনের আওতায় বিচারিক ক্ষমতা এবং ভোটের দিন সার্বিক পরিস্থিতি মূল্যায়নের জন্য ভোটকেন্দ্রে প্রবেশের অনুমতি চেয়েছে সশস্ত্র বাহিনী। সম্প্রতি নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে অনুষ্ঠিত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বৈঠকে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে এসব দাবি জানানো হয়।
নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার নাসির উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে সেনাবাহিনীর একজন প্রতিনিধি বিষয়টি উত্থাপন করেন। তবে সভায় তাৎক্ষণিকভাবে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি সাংবিধানিক সংস্থাটি। বৈঠকের কার্যবিবরণী সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
বর্তমানে সারা দেশে সশস্ত্র বাহিনী বিচারিক ক্ষমতার আওতায় দায়িত্ব পালন করলেও নির্বাচনি বিধান অনুযায়ী প্রিসাইডিং অফিসারের অনুমতি ছাড়া আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কোনো সদস্য ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারেন না। আসন্ন নির্বাচনে সশস্ত্র বাহিনী ওই ক্ষমতা পেতে চায়।
সভায় নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মোহাম্মদ সানাউল্লাহ নির্বাচনে তিন ধরনের ঝুঁকির কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন,দীর্ঘদিন ভোট না হওয়ায় স্বাভাবিক উত্তেজনা ও উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি হতে পারে, যা প্রথম ঝুঁকি। এটাকে দমাতে পারলে নির্বাচন উৎসবমুখর হবে এবং না পারলে শৃঙ্খলা ভাঙতে পারে। দ্বিতীয় ঝুঁকি হিসেবে একটি পক্ষের পরিকল্পিত নাশকতা এবং তৃতীয় ঝুঁকি হিসেবে কালো টাকা,জাল টাকা ও সীমান্তপারের সংযোগের কথা উল্লেখ করেন তিনি।
২১ ডিসেম্বর ২০২৫
এ জি