চাঁদপুর

‘ইসলামী ব্যবস্থাই পারে শান্তি ফিরিয়ে আনতে’

একমাত্র ইসলামী শাসন ব্যবস্থাই পারে অশান্ত পৃথিবীতে শান্তি ফিরিয়ে আনতে: বিপণীবাগের ঐতিহাসিক ইসলামী সম্মেলনে বক্তারা

‘বিশ্বজুড়ে বিরাজমান অস্থিরতা দূর করার লক্ষ্যে বহু আইন প্রয়োগ করা হয়েছে। প্রয়োগ হয়েছে অত্যাধুনিক সকল অস্ত্র। মানবতার মুক্তির জন্য সকল প্রচেষ্টা শেষ হয়েছে। তবুও শান্তির দেখা আজও বিশ্ববাসী পায়নি। বরং শান্তি প্রতিষ্ঠার অযুহাতে শান্তির প্রতীক নায়েবে রসূলদের এবং মুসলমানদেরকে সন্ত্রাসী বানাবার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে অশান্তি সৃষ্টিকারী ইহুদি-খ্রীষ্টানচক্র ও তাদের দোসররা। এমতাবস্থায় অশান্ত বিশ্বে মানবতার মুক্তির দূত বিশ্ব নবী (সা.)-এর মাধ্যমে আল্লাহ প্রদত্ত যে বিধান প্রতিষ্ঠিত হয়েছে একমাত্র সেই ইসলামই পারে বিশ্বজুড়ে শান্তি ফিরিয়ে আনতে।’

চাঁদপুর সরকারি বিশ্ব বিদ্যালয় কলেজ ময়দানে আয়োজিত ৩দিনব্যাপী বিপণীবাগের ২৯ তম ইসলামী সম্মেলনে বক্তারা এসব কথা বলেন।

বক্তারা আরো বলেন, ইসলামের আলো নিভিয়ে দেয়ার জন্য ফেরাউন এবং নমরুদের মত খোদাদ্রোহীরা প্রচেষ্টা চালিয়ে যেমনিভাবে ব্যর্থ হয়েছিলো। বর্তমানের ফেরাউনের উত্তরসূরিরাও তেমনিভাবে ব্যর্থ হবেই। যে জমিনে বিরোধিতা যত বাড়বে সে জমিনে ইসলাম তত দ্রুত প্রতিষ্ঠা লাভ করবে।

এ ছাড়াও বাংলাদেশের চলমান প্রেক্ষাপটে বিভিন্ন বিষয়ের উপর আলোচনায় বক্তারা বলেন, এ দেশ আওলিয়া কেরামদের দেশ, এ দেশ মুসলমানদের দেশ এ দেশে যারা ইসলাম, কুরআন, হাদিস ও নবীর বিরুদ্ধে কথা বলে এবং বিভিন্ন কটুক্তি করে তাদের ব্যাপারে রাষ্ট্রীয়ভাবে আইন প্রয়োগ করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। এ ব্যাপারে সরকারের সু-দৃষ্টি কামনা করেন বক্তারা।

ইসলাম বিদ্বেষীদের বিরুদ্ধে দেশের জনগণকে সোচ্চার হওয়ারও আহ্বান জানান তারা।

৩ দিনের সম্মেলনে আগত বক্তারা ইসলামের বিভিন্ন বিষয়ের উপর বিষয়ভিত্তিক আলোচনা রাখেন।

বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ ও লেখক মাওলানা এস এম আনওয়ারুল করিমের উপস্থাপনায় সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন বাহাদুরপুরের পীর সাহেব আলহাজ্ব হযরত মাওলানা আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ হাসান।

১৮ নভেম্বর বুধবার বাদ আছর থেকে শুরু হওয়া এ সম্মেলনের প্রথমদিন পবিত্র কুরআন ও হাদিস থেকে আলোচনা পেশ করেন আন্তোর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন মুফাস্সেরে কুরআন হযরত মাওলানা খোরশেদ আলম কাসেমী, মতলবের বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ মুফাস্সেরে কুরআন মাওলানা আব্দুল মান্নান, মদিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুবাল্লিগ মাওলানা নূরুর রহমান মাদানী, বড় ষ্টেশন জামে মসজিদের খতিব মুফতি সিরাজুল ইসলাম, রেলওয়ে কলোনী জামে মসজিদের খতিব মাওলানা এস এম আনওয়ারুল করিম, মুন্সিবাড়ি জামে মসজিদের খতিব মাওলানা মিজানুর রহমান প্রমূখ।

১৯ নভেম্বর বৃহস্পতিবার সম্মেলনের দ্বিতীয় দিন পবিত্র কুরআন ও হাদিস থেকে আলোচনা পেশ করেন আন্তোর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন মুফাস্সেরে কুরআন হযরত মাওলানা ইসমাইল বিন ইব্রাহীম, বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ মুফাস্সেরে কুরআন মাওলানা সালাহ উদ্দিন আহমাদ, ইসলামপুর গাছতলা দরবারের পীর সাহেব আল্লামা খাজা ওয়ালী উল্যাহ, চাঁদপুর চিশতিয়া জামে মসজিদের খতিব মাওলানা আহমদ উল্যাহ, পুরান বাজার ওসমানিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদরাসার উপাধ্যক্ষ মাওলানা বিএম মোস্তফা কামাল, প্রফেসর পাড়া জামে মসজিদের খতিব মাওলানা ইয়াকুব আলী, পাটওয়ারী বাড়ি জামে মসজিদের খতিব মাওলানা আব্দুস সালাম প্রমূখ।

২০ নভেম্বর শুক্রবার সম্মেলনের তৃতীয় ও শেষদিন পবিত্র কুরআন ও হাদিস থেকে আলোচনা পেশ করেন কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ব বিদ্যালয়ের অধ্যাপক আন্তোর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন মুফাস্সেরে কুরআন হযরত মাওলানা আ ন ম ড. অব্দুল্যাহ মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর, বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ মুফাস্সেরে কুরআন মাওলানা হাফিজুর রহমান সিদ্দিকী (কুয়াকাট), কচুয়া শাজুলীয়া দরবারের পীর সাহেব মাওলানা শাহ মোহাম্মদ রুহুল্লাহ শাজুলী, চাঁদপুর বিশ্ব বিদ্যালয় জামে মসজিদের খতিব আলহাজ্ব মাওলানা হাফেজ নিজামুল হক, ঐতিহাসিক বেগম জামে মসজিদের খতিব মাওলানা মুফতি মাহবুবুর রহমান, মাওলানা মুফতি আমীন উল্যাহ বীন নূরী, বাইতুল ফালাহ জামে মসজিদের খতিব মাওলানা সোহাইল আহমদ চিশতী প্রমুখ।

সম্মেলনের শেষদিন শুক্রবার দেশ ও জাতির কল্যাণে বাদ মাগরীব বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন সম্মেলনের সভাপতি বাহাদুরপুরের পীর সাহেব আলহাজ্ব হযরত মাওলানা আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ হাসান।

সম্মেলনে ইসলামী সংগীত পরিবেশন করেন ইসলামী সাংস্কৃতিক সংগঠন মোহনা শিল্পী গোষ্ঠীর শিল্পীবৃন্দ।

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট ।।  আপডেট: ০৫:২৫ পিএম, ২১ নভেম্বর ২০১৫, শনিবার

ডিএইচ

এমএ আকিব

Share