মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে শুক্রবার পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপিত হচ্ছে। তার আগের দিনেও গাজায় বর্বর হামলা চালিয়েছে দখলদার ইসরাইল। এতে ৭০ জন নিহত ও ১৮৯ জন আহত হয়েছেন। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর এক বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, হতাহতের প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি। কারণ অনেকেই ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছেন। তাদেরকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরাইল। শুক্রবারের অভিযানের পর গত ২০ মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা এ আগ্রাসনে গাজায় মোট নিহত হয়েছেন ৫৪,৬৭৭ জনে।এছাড়া আহতের সংখ্যা পৌঁছেছে ১,২৫,৫৩০ জনে। এর ৫৬ শতাংশই নারী ও শিশু।
এর আগে চলতি বছরের জানুয়ারিতে ১৫ মাসেরও বেশি সময় ধরে টানা আগ্রাসনের পর যুক্তরাষ্ট্র ও মধ্যস্থতাকারী অন্যান্য দেশগুলোর চাপে বাধ্য হয়ে গত ১৯ জানুয়ারি গাজায় যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করে ইসরাইল।
কিন্তু দু’মাস শেষ হওয়ার আগেই গত ১৮ মার্চ থেকে ফের গাজায় বিমান ও স্থল হামলা শুরু করে ইসরাইলি বাহিনী। দ্বিতীয় দফার এ হামলায় গত আড়াই মাসে গাজায় নিহত হয়েছেন ৪,৬০২ জন ফিলিস্তিনি। আহত হয়েছেন আরও প্রায় ১৩,৪০৯ জন।
এদিকে ইসরাইলের হামাসের হাতে এখনো আটক থাকা ৫৮ জনের মধ্যে অন্তত ৩৫ জন জীবিত রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সামরিক অভিযানের মাধ্যমে তাদের উদ্ধার করার ঘোষণা দিয়েছে ইসরাইল। জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এ পর্যন্ত বেশ কয়েকবার গাজায় সামরিক অভিযান বন্ধের জন্য ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
এমনকি সম্প্রতি অবরুদ্ধ ও দুর্ভিক্ষ কবলিত গাজায় তাৎক্ষণিক, নিঃশর্ত ও স্থায়ী যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে একটি প্রস্তাবও উত্থাপন করা হয়।
তবে যুক্তরাষ্ট্র সে প্রস্তাবে ভেটো দিয়েছে। এর ফলে গাজায় যুদ্ধবিরতি ও মানবিক সহায়তা পৌঁছানো আবারও হুমকির মুখে পড়েছে। অন্যদিকে জাতিসংঘের আদালত নামে পরিচিত ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিসে (আইসিজে) ইসরাইলের বিরুদ্ধে গাজায় গণহত্যার মামলাও দায়ের করা হয়েছে।
তবে নেতানিয়াহু স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, হামাসকে পুরোপুরি দুর্বল ও অকার্যকর করা এবং জিম্মিদের মুক্ত করা না পর্যন্ত তিনি অভিযান বন্ধ করবেন না। সূত্র: মেহের নিউজ
৬ জুন ২০২৫
এজি
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur