চাঁদপুরে মা ইলিশ রক্ষায় ২৯০টি অভিযান-মোবাইল কোর্ট পরিচালনা

দেশের ৬টি অভয়াশ্রমসহ চাঁদপুরের নৌ-সীমানায় ৪ অক্টোবর থেকে চলছে মা ইলিশ রক্ষা অভিযান অব্যাহত রয়েছে । আগামি ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত ২২ দিনব্যাপি চলবে জাতীয় সম্পদ ইলিশ রক্ষার এ অভিযান।

আজ ১৮ অক্টোবর অভিযানের ১৫তম দিন।

এর মধ্যে পদ্মা-মেঘনার জেলা-উপজেলা প্রশাসন, কোস্ট গার্ড,নৌ-পুলিশ জেলা মৎস্য ও উপজেলা মৎস্য যৌথ বা এককভাবে এ পর্যন্ত ২৩২ টি অভিযান ও ৫৮ টি মোবাইল কোর্ট মোট ২৯০ টি পরিচালনা করা হয়েছে ।

অভিযান চালিয়ে প্রায় ৯৮ লাখ ৮২ হাজার মিটার জাল আটক করা হয়। যার মূল্য হবে ১৯ কোটি ৭৮ লাখ টাকারও অধিক। চাঁদপুর সদর,মতলব উত্তর ও হাইমচরের ১৯০ জন জেলেকে আটকপূর্বক মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।

জেলা মৎস্য অধিদপ্তর ৭৫ টি মামলা করা হয়েছে । এ ছাড়াও ১২০৭ টি আড়ৎ ও ৪০৩ টি বাজার ও ১৭৫ টি মাছঘাট মনিটরিং করা হযেছে । ১৯ লাখ টাকা নিলামে আয় হয়েছে ।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয়ের মনিটরিং কক্ষ থেকে ১৮ অক্টোবর সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।

প্রসঙ্গত,পদ্মা-মেঘনায় ইলিশের নিরাপদ প্রজননের লক্ষ্যে ইলিশসহ সব ধরনের মাছ আহরণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। জাতীয় সম্পদ ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে মিঠা পানিতে মা ইলিশকে ডিম ছাড়ার সুযোগ করে দিতেই এ অভিযান শুরু।

ফলে মতলব উত্তর উপজেলার ষাটনল থেকে হাইমচরের চরভৈরবী পর্যন্ত মেঘনা নদীর ৮০ কি.মি এলাকাকে অভয়াশ্রম ঘোষণা করা হয়েছে।

এ সময় ইলিশের আহরণ, ক্রয়-বিক্রয়,মজুদ ও পরিবহণ করা যাবে না। নিষেধাজ্ঞা থাকলেও অভিযানকালীন সময়ে একশ্রেণির অসাধু মৎস্য শিকারীগণ থেমে নেই। তারা গোপনে নদীতে মাছ ধরে তা বিক্রি করে যাচ্ছে। আর অভিযান সফল করতে কঠোর মনোভাব নিয়ে প্রতিদিনই নদী এবং মৎস্য আড়তে কঠোর অভিযান অব্যাহত রেখেছে টাস্কফোর্স সদস্যরা।

প্রসঙ্গত ,ইলিশের উৎপাদন বাড়াতে দেশের সব প্রজননগুলোতে ২২ দিন ইলিশ প্রজনন মৌসুম ঘোষণা করেছে সরকার। এ সময়ের মধ্যে ইলিশ ধরা,আহরণ,বিক্রি ও বিপণন বন্ধ থাকবে। ইলিশের এ প্রজনন সময়ে সরকারের মানবিক খাদ্য সহায়তা কর্মসূচির আওতায় চলতি অর্থবছরে জেলেদের ভিজিএফ চাল বরাদ্দ করা হয়েছে।

আবদুল গনি, ১৮ অক্টোবর ২০২১

Share