দেশের অভ্যন্তরীণ সমুদ্র ও উপকূলীয় এলাকা এবং নদ-নদীতে মা-ইলিশ রক্ষায় ব্যস্ত নৌবাহিনীর সাতটি জাহাজ। সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী, ৪ অক্টোবর থেকে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত ইলিশ শিকারের ওপর নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নে এই বিশেষ অভিযান চালানো হচ্ছে।
৪ অক্টোবর সোমবার আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর (আইএসপিআর) থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানা গেছে।
অভিযানের অংশ হিসেবে সেন্টমার্টিন, কক্সবাজার ও কুতুবদিয়া অঞ্চলে বানৌজা মধুমতি, বরিশালে বানৌজা বরকত, পিরোজপুরে বানৌজা তিস্তা, চাঁদপুরে বানৌজা অতন্দ্র, খুলনায় বানৌজা গোমতী, বাগেরহাটে বানৌজা তুরাগ এবং পটুয়াখালীতে এলসিভিপি-০১২ বিশেষ টহল দিচ্ছে। বাংলাদেশ নৌবাহিনীর জাহাজকে সংক্ষেপে বলা হয় ‘বানৌজা’।
আইএসপিআর জানিয়েছে, চট্টগ্রামের বহির্নোঙর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করছেন নৌবাহিনীর অ্যান্টি স্মাগলিং সেলের সদস্যরা। প্রজনন মৌসুমে ইলিশ ধরা নিষিদ্ধ সংক্রান্ত সরকারি নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়ন এবং এ বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধিতে স্থানীয় প্রশাসনকে সর্বাত্মক সহায়তা দিচ্ছেন তারা।
আশ্বিনের ভরা পূর্ণিমার আগে-পরে মিলিয়ে মোট ১৫-১৭ দিন ইলিশের ডিম ছাড়ার প্রধান মৌসুম। এ সময় সাগর থেকে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ ছুটে আসে নদীতে। ফলে মা-ইলিশের প্রজনন নির্বিঘ্ন রাখতে প্রতিবছর প্রায় তিন সপ্তাহ ইলিশ ধরা নিষিদ্ধ করে সরকার।
ইলিশ সম্পদ সংরক্ষণে ‘প্রটেকশন অ্যান্ড কনজারভেশন অব ফিশ অ্যাক্ট, ১৯৫০’-এর অধীন প্রণীত ‘প্রটেকশন অ্যান্ড কনজারভেশন অব ফিশ রুলস, ১৯৮৫’ অনুযায়ী মোট ২২ দিন সারাদেশে ইলিশ আহরণ, পরিবহন, মজুত ও বিপণন নিষিদ্ধ। গত ২৬ সেপ্টেম্বর এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন করা হলে আইনে কমপক্ষে এক থেকে সর্বোচ্চ দুই বছর সশ্রম কারাদণ্ড অথবা পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করার বিধান রয়েছে।