মধ্যরাত থেকে আগামী ২২ দিনের জন্য ইলিশ ধরা, ক্রয়-বিক্রয়, পরিবহন ও মজুত বন্ধ থাকবে। নিষেধাজ্ঞা শুরুর আগে শেষ চালানে ১৬৭ মেট্রিক টন ইলিশ ভারতে পাঠানো হয়েছে। দুর্গাপূজা উপলক্ষে চার হাজার ৬০০ মেট্রিক টন ইলিশ রফতানির অনুমতি দিয়েছিল বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এরই অংশ হিসেবে আট দিনে মোট এক হাজার ১৩৭ মেট্রিক টন ইলিশ ভারতে গেলো।
রবিবার (৩ অক্টোবর) রাত ১১টা পর্যন্ত ১৬৭ মেট্রিক টন ইলিশ বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে ভারতে প্রবেশের জন্য গেট পাস নিয়েছে ২০টি রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান। গত ২২ সেপ্টেম্বর ১০৩, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০৯, ২৫ সেপ্টেম্বর ১৮৬, ২৭ সেপ্টেম্বর ২৭৮, ২৮ সেপ্টেম্বর ৮০, ২৯ সেপ্টেম্বর ৯৬, ৩০ সেপ্টেম্বর ১৮ ও শেষ চালানে আজ ১৬৭ মেট্রিক টন ইলিশ ভারতে গেছে।
শার্শা উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আবুল হাসান জানান, রফতানি নিষিদ্ধ হলেও দুর্গাপূজা উপলক্ষে এবার ৪০ মেট্রিক টন করে ১১৫টি প্রতিষ্ঠানকে চার হাজার ৬০০ মেট্রিক টন ইলিশ ভারতে রফতানির অনুমতি দিয়েছে সরকার। এরমধ্যে ২০ সেপ্টেম্বর ৫২টি প্রতিষ্ঠানকে দুই হাজার ৮০ এবং ২৩ সেপ্টেম্বর ৬৩টি প্রতিষ্ঠানকে দুই হাজার ৫২০ মেট্রিক টন ইলিশ পাঠানোর অনুমতি দেওয়া হয়। আগামী ১০ অক্টোবরের মধ্যে সব ইলিশ রফতানির নির্দেশনা ছিল। কিন্তু সরকারি নির্দেশনায় আগামীকাল (৪ অক্টোবর) থেকে ২৫ অক্টোবর দেশে ইলিশ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। ফলে রফতানিকারকরা দেশের বাজারে বা মোকামে ইলিশ পাবে না। এ কারণে আজই ইলিশ রফতানি শেষ হচ্ছে।
ইলিশ রফতানিকারক বিশ্বাস ট্রেডার্সের মালিক নূরুল আমিন বিশ্বাস বলেন, এবার ভারতে চার হাজার ৬০০ মেট্রিক টন ইলিশ রফতানি করার কথা ছিল। কিন্তু বাজারে ইলিশ সংকট থাকায় আপাতত বন্ধ থাকছে। ইলিশ মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা শেষে সরকারের কাছে আবার আবেদন করা হবে। অনুমতি পেলে বাকি ইলিশ ভারতে রফতানি করবো।
তিনি আরও জানান, বর্তমানে প্রতি কেজি ইলিশের রফতানিমূল্য ১০ মার্কিন ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৮৫০ টাকা। ভারত ও বাংলাদেশ দুই দেশের কাস্টমস থেকে শুল্কমুক্ত সুবিধায় ইলিশের এই চালান ছাড় করানো হচ্ছে।
বেনাপোল কাস্টমস কমিশনার আজিজুর রহমান জানান, বেনাপোল বন্দর দিয়ে আটটি চালানে মোট এক হাজার ১৩৭ মেট্রিক টন ইলিশ ভারতে গেলো। দ্রুত রফতানির জন্য কাস্টমসের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।