চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপকূলে ভরা মৌসুমে চলছে ইলিশ উৎসব। সাগরে জেলেদের জালে ধরা পড়ছে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ মাছ। সারা দেশের সমুদ্র উপকূলের এমন চিত্র থেকে ব্যতিক্রম নয় চট্টগ্রামের সমুদ্র তীরবর্তী উপজেলা বাঁশখালীও।
বাঁশখালী উপকূল হাজার হাজার জেলে জাল নিয়ে প্রতিদিন ছুটে যাচ্ছেন গভীর সমুদ্রে। নিয়ে আসছেন ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ।
উপকূলে এনে ইলিশগুলো আড়তে সাজিয়ে রাখছেন বাজারজাত করার জন্য।
আড়ত থেকে নির্ধারিত মূল্যে মাছ কিনে নিয়ে যাচ্ছেন চট্টগ্রাম, ঢাকা, সিলেটসহ বেশ কয়েক জেলায় পাইকারি ক্রেতারা। দরদাম নিয়ে ক্রেতা বিক্রেতাদের হাঁকডাকে সমুদ্র উপকূল হয়ে উঠেছে জমজমাট ইলিশের বাজার। রীতিমতো বাঁশখালীর সমুদ্র উপকূলে যেন চলছে ইলিশ উৎসব।
সোমবার সকালে বাঁশখালীর সাগর উপকূলে সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, উপকূল জেলেরা ফিশিং বোট থেকে ইলিশ নামিয়ে আড়তে সাজিয়ে রাখছেন। সেখান থেকে আকার ভেদে নির্দিষ্ট মূল্যে তা ক্রয় করে ড্রাম ভরে ট্রাকে তুলে নিচ্ছেন যাচ্ছে বিভিন্ন জেলায়। এভাবে আড়তদার, পাইকারসহ কয়েক দফা হাতবদল হয়ে এসব ইলিশ চলে যাচ্ছে চট্টগ্রাম, রাজধানী, সিলেট, রাজশাহীসহ বড় বড় বাজারে।
কয়েকটি পয়েন্ট থেকে প্রায় ৩ হাজার মাছ ধরা ফিশিং বোট মাছ আহরণে কাজে নিয়জিত আছে। বাঁশখালীর শেখেরখীল ফাঁড়ির মুখ, চাম্বল বাংলা বাজার ঘাট, গন্ডামারা বড়ঘোনা খাটখালী, খানখানাবাদ প্রেমাশিয়ায় ফিশিং বোট থেকে উপকূল ইলিশ মাছ নামানো হয়।
বাঁশখালী উপজেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা যায়। বাঁশখালীর পাইকারি বাজারে এখন বড় ইলিশ প্রতি মণ বিক্রি হচ্ছে ৩৭ থেকে ৪২ হাজার টাকা দরে। আর আধা কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে প্রতি মণ ১৬ থেকে ১৮ হাজার টাকা দরে।
মনকিচর এলাকার ফরিদ মাঝি বলেন, দুই মাস সাগরে মাছ আহরণ নিষিদ্ধ থাকায় এখন ভালো মাছ পাওয়া যাচ্ছে। বড় বড় ইলিশ মাছ ধরা পড়ছে জালে। দরদামও মোটামুটি ভালো।
খানখানাবাদ প্রেমাশিয়া মৎস্য সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক নুর মোহাম্মদ বলেন, সাগরে অনেক ইলিশ মাছ ধরা পড়ছে। প্রতিদিন বাঁশখালী থেকে কোটি টাকার ইলিশ মাছ সারা দেশে বাজারজাত হচ্ছে।
চাম্বল বাংলাবাজার ফিশিং ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি হেফজাতুল ইসলাম বলেন, গত বছরের তুলনায় এবার ভালো মাছ ধরা পড়ছে। মৎস্যজীবীদের মুখে হাসি ফুটেছে। প্রতিদিন পাইকারদের মাধ্যমে বাঁশখালীর কোটি টাকার ইলিশ সারা দেশের বড় বড় বাজারে চলে যাচ্ছে।