প্রজনন মৌসুমে ভারতে ইলিশ রপ্তানি বন্ধ থাকার ২৫ দিন পর আবারও তা শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৮ অক্টোবর) ১৮ টন ইলিশ ভারতে রপ্তানি করা হয়েছে।
এর আগে, দুর্গাপূজা উপলক্ষে ১১৫ প্রতিষ্ঠানকে ভারতে চার হাজার ৬০০ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দিয়েছিল সরকার। ১২ দিনে (৩ অক্টোবর) রপ্তানি হয় এক হাজার ১০৮ মেট্রিক টন ২৮০ কেজি ইলিশ।
এরপরই ৪ থেকে ২৬ অক্টোবর পর্যন্ত দেশে ইলিশের প্রজনন রক্ষায় ২২ দিনের জন্য ইলিশ শিকার, পরিবহন ও বিক্রয় বন্ধের নির্দেশনা দেওয়া হয়। এ সময় ভারতে ইলিশ রপ্তানি বন্ধ ছিল।
তবে প্রজনন মৌসুম শেষে আবারও রপ্তানির নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ভারতে ইলিশ রপ্তানির সময়সীমা বাড়িয়ে ৫ নভেম্বর পর্যন্ত নির্ধারণ করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
ইলিশ রপ্তানিকারকদের অনুরোধে মঙ্গলবার (২৬ অক্টোবর) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের রপ্তানি-২ শাখার উপসচিব তানিয়া ইসলাম স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে ইলিশ রপ্তানির সময় ৫ নভেম্বর পর্যন্ত বাড়িয়ে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।
ফের ইলিশ রপ্তানির নির্দেশনা দেওয়ার পর প্রথম দিন বৃহস্পতিবার (২৮ অক্টোবর) ১৮ টন ইলিশ ভারতে রপ্তানি করা হয়েছে বলে জানান বেনাপোল মৎস্য পরিদর্শন ও মান নিয়ন্ত্রণ অফিসের পরিদর্শক আসওয়াদুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ২৫ দিন বন্ধ থাকার পর ভারতে ইলিশ রপ্তানি আবার শুরু হয়েছে। বেনাপোল বন্দর দিয়ে গত ২২ সেপ্টেম্বর থেকে ৩ অক্টোবর পর্যন্ত মোট এক হাজার ১০৮ মেট্রিক টন ২৮০ কেজি ইলিশ রপ্তানি হয়েছিল। আজ ১৮ টন ইলিশ মাছ ভারতে রপ্তানি করা হয়েছে। প্রতিকেজি ইলিশের রপ্তানিমূল্য ১০ মার্কিন ডলার ধরা হয়েছে। ভারত ও বাংলাদেশ দুই দেশের কাস্টমস থেকে শুল্কমুক্ত সুবিধায় ইলিশের এসব চালান রপ্তানি করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
ইলিশ রপ্তানিকারক বিশ্বাস ট্রেডার্সের মালিক নূরুল আমিন বিশ্বাস বলেন, এবার পূজায় ভারতে চার হাজার ৬০০ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানি করার কথা ছিল। কিন্তু বাজারে ইলিশ সংকট থাকায় এবং আহরণ, পরিবহন, মজুত, বাজারজাতকরণ, ক্রয়-বিক্রয় ও বিনিময় নিষিদ্ধ থাকায় নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ইলিশ রপ্তানি করা যায়নি। সে কারণে বাকি ইলিশ রপ্তানির জন্য বাণিজ্য মন্ত্রনালয় অনুমতি দিয়েছে। আগামী ৫ নভেস্বর পর্যন্ত ইলিশ রপ্তানি করা যাবে।