ইলিশ রক্ষা অভিযানে সফল হলে ইলিশের বাড়ি চাঁদপুর নামকরণ সার্থক হবে

মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান-২০২৫ বাস্তবায়ন সংক্রান্ত জেলা টাস্কফোর্স কমিটির কর্মসুচি ও সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২৮ সেপ্টেম্বর রোববার বিকেলে জেলা মৎস্য অধিদপ্তরের আয়োজনে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন।

এসময় তিনি বলেন, এই মৎস্য অভিযান আমাদের সকলের, এটি সফল করতে সকলের আন্তরিকতা ও সহযোগিতা প্রয়োজন। এজন্য জেলে ও সাধারণ মানুষের সঙ্গে সরাসরি মতবিনিময় চালাতে চাই। যেসব এলাকায় জেলেরা আছে, আমরা তাদের সঙ্গে বসে কথা বলব। যদি আমরা সবাই একটু কঠোর হই, তাহলে এই অভিযান সফল হবে।

মা ইলিশ সংরক্ষণের জন্য যদি এই ধরনের কঠোর ও সুশৃঙ্খল উদ্যোগ অব্যহত রাখা যায়, তাহলে ভবিষ্যতে চাঁদপুরকে ‘ইলিশের বাড়ি’ হিসেবে নামকরন স্বার্থক হবো।

তিনি বলেন, মা ইলিশ রক্ষায় এই ২২ দিন আমাদের কঠিন সতর্ক থাকতে হবে, অভিযানকে সার্থক করতে দয়া-মায়া দেখালে চলবে না, যারা অভিযানে মাছ ধরতে নামবে তাদেরকে আটক করে আইনের আওতায় আনা হবে।

জেলা প্রশাসক আরো বলেন, ইলিশের বংশবৃদ্ধি নিশ্চিতে নদীর প্রতিটি খালের মুখ বন্ধ রাখতে হবে এবং মাছ ধরার সব নৌকাকে কিভাবে এই ২২ দিনের জন্য নিয়ন্ত্রণে রাখা যায় সে বিষয়ে জেলেদের উদ্ভুদ্ধ করতে হবে। তিনি জেলেদের সামাজিক সুরক্ষা বিষয়েও জোর দিয়ে বলেন, প্রত্যেক জেলে যেনো জেলে কার্ডের চাল পায় কোন জেলেকে এই কার্ড থেকে বঞ্চিত করা যাবেনা।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, পুলিশ সুপার মুহম্মদ আব্দুর রকিব, নৌ-পুলিশের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার ইমতিয়াজ আহমেদ, কোস্টগার্ড স্টেশন কমান্ডার লেঃ শওকত, চাঁদপুর সদরের নবাগত উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস. এম. এন. জামিউল হিকমা সভায় উপস্থিত ছিলেন।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা শ্রীবাস চন্দ্র চন্দ এর সঞ্চালনায় এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, সদর উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মির্জা ওমর ফারুক, হাইমচর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা এবিএম আশরাফুল হক, মতলব দক্ষিণ মৎস্য কর্মকর্তা শামীম আহমদ, চাঁদপুর মৎস্য বানিক সমবায় সমিতির সভাপতি আব্দুল বারি জমাদার মানিক, পৌর মৎস্যজীবী দলের সভাপতি আমিন শেখ জিলানী, সদর থানা মৎস্যজীবী দলের সভাপতি আব্দুল কাদির গাজী ও সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসেন সহ মৎস্য সংশ্লিষ্ট সকল প্রতিনিধি এবং বিভিন্ন মৎস্যজীবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

সভায় উপস্থিত আইনশৃঙ্খলা ও মৎস্য বিভাগের কর্মকর্তারা অপারেশনাল দিকগুলো চূড়ান্ত করার জন্য কনক্রিট নির্দেশনা গ্রহণ করেন, পথে-ঘাটে দায়িত্বশীল টহল, নৌ-পুলিশ ও কোস্টগার্ডের যৌথ প্যাট্রোল, ও বিভিন্ন খালগুলোর মোবাইল পর্যবেক্ষণ জোরদার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। জেলা প্রশাসক সংশ্লিষ্টদের সতর্ক করে বলেন, স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশের সমন্বয় ছাড়া অভিযান সাফল্য অর্জন করবে না।

প্রতিবেদক: কবির হোসেন মিজি/ ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫