ইলিশ বাড়ি। নামটি শুনে কিছুটা অবাক হলেও এটি এখন সবার প্রিয় স্থান। একদিকে মেঘনা অন্যদিকে সবুজ বন, মাঝখানে রং বেরংয়ের কুঁড়েঘর। প্রকৃতির নির্মল বাতাসে বসে প্রশান্তির ছোঁয়ায় মন জুড়িয়ে যায় সকলের।
এটি ভোলার পর্যটনের এক নতুন দিগন্ত। উদ্বোধনের মাত্র ৩ দিনেই নজর কেড়েছে পর্যটকদের। দূর-দূরান্ত থেকে ইলিশ বাড়িতে ছুটে আসছেন মানুষ। ঈদের ছুটিতে যেন ঢল নেমেছে পর্যটকদের। সম্ভাবনাময় এ পর্যটন স্পটটি জেলার পর্যটন শিল্পকে আরও একধাপ এগিয়ে নিয়ে যাবে বলে মনে করছেন পর্যটকরা।
জানা গেছে, ইলিশের জন্য বিখ্যাত দ্বীপজেলা ভোলা। এটি সবার জানা থাকলেও ইলিশ নিয়ে এখন পর্যন্ত ভোলায় কোনো স্থাপনার নাম নেই। তাই একঝাঁক তরুণ উদ্যোক্তা ইলিশের সঙ্গে ভোলাকে আরও বেশি পরিচিত করে তুলতে মেঘনার তীর ঘেঁষে গড়ে তুলেছেন ইলিশ বাড়ি নামের একটি পর্যটন কেন্দ্র। ঈদের দিন থেকে এটি চালু হয়েছে। আর এতেই ব্যাপক সাড়া পড়েছে দর্শনার্থীদের।
ঘুরতে আসা কয়েকজন দর্শনার্থী জানালেন, ভোলার অন্যান্য দর্শনীয় স্থানের মতো এটিও অনেক সুন্দর। কিন্তু কিছুটা আলাদা। এক স্থানে বসেই সব কিছুর দেখা মিলবে।
সরেজমিনে জানা গেল, ৫ একর জমির ওপর সম্পূর্ণ কাঠ দিয়ে মেঘনার বুকে নির্মাণ করা এই পর্যটন কেন্দ্রটি এখন সবার নজর কেড়েছে। বেশ কয়েকটি কুঁড়েঘর নির্মাণ করা হয়েছে, বাহারি লাভ পয়েন্ট চারপাশের আলোকসজ্জা আর খুব কাছ থেকে প্রকৃতি দেখা সুযোগ রয়েছে। সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের মনোরম দৃশ্য ছাড়াও জেলেদের ইলিশ ধরার দৃশ্য, নদীর উত্তাল ঢেউ, নির্মল বাতাস আর অপরূপ প্রকৃতির নয়নাভিরাম সৌন্দর্য দেখা যাবে এখানে বসেই।
ঘুরতে আশা পর্যটকরা জানালেন, এখানে প্রকৃতির মনোরম দৃশ্য দেখার পাশাপাশি তাজা ইলিশের স্বাদ নেওয়া যায়। এছাড়াও পাওয়া যাচ্ছে দেশি-বিদেশি খাবারও।
ইলিশ বাড়ির উদ্যোক্তা এম হেলাল উদ্দিন বলেন, ’ইলিশ বাড়ি চালু হওয়ার পর থেকে আমরা পর্যটকদের অনেক সাড়া পাচ্ছি এটিকে আরও আকর্ষণীয় করে গড়ে তুলবো।’
ভোলার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, গুরুত্বপূর্ণ পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। দর্শনার্থীরা যাতে নিরাপদে ঘোরাফেরা করতে পারে সেজন্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। রয়েছে গোয়েন্দা নজরদারিও।
বার্তা কক্ষ, ১৩ জুলাই ২০২২
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur