চাঁদপুরে দেশ বরেণ্য ইলিশ গবেষক ড.আনিসুর রহমান বলেন,‘প্রতিবছর দেশে ১৪-১৫ হাজার মে.টন ইলিশ উৎপাদন বাড়ছে। ২-৩ বছরে ইলিশ উৎপাদন ৬ লাখ মে.টন ছাড়িয়ে যাবে। উৎপাদন বাড়াতে নতুন নতুন ইলিশের বিচরণ ক্ষেত্র চিহ্নিত করতে গবেষণা করা হচ্ছে।’
চাঁদপুর নদী গবেষণা কেন্দ্রের চীফ সাইন্টিফিক অফিসার ও দেশ বরেণ্য ইলিশ গবেষক ড.আনিসুর রহমান তাঁর কার্যালয়ে এ তথ্য জানিয়েছিলেন ।
তিনি আরো বলেন,‘ আমাদের আভ্যন্তরীণ উম্মুক্ত জলাশয়ের মৎস্য উৎপাদনের ক্ষেত্রে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি রাখতে হবে। ইলিশের উৎপাদন বাড়াতে ইতোমধ্যেই অত্যাধূনিক একটি গবেষণা জাহাজ সংযুক্ত করা হয়েছে।
নতুন নতুন ইলিশের বিচরণ ক্ষেত্র নিয়ে কাজ করা হচ্ছে। মৎস্য সংরক্ষণ এ্যাকশন প্লান আধুনিক করা হয়েছে। ইলিশের অভয়াশ্রমগুলোতে মাছের ডিম পাড়ার সুযোগ ও মাছ বড় হওয়ার সুযোগ করে দিতে হবে। জাটকার সুরক্ষায় চলমান প্রক্রিয়া বজায় রাখার ওপর তিনি গুরুত্বারোপ কওে এ কথা বলেন।’
তিনি আরো বলেন, ‘দেশে চলতি অর্থবছরে ইলিশ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা পৌনে ৬ লাখ মে.টন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ২০২০-২১ অর্থবছরে ৫ লাখ ৬৫ হাজার মে. টন ইলিশ উৎপাদিত হয়েছে বলে চাঁদপুর নদী গবেষণা কেন্দ্র সুত্রে জানানো হয়েছে।
প্রতিবছর মার্চ- এপ্রিল এ দ’ুমাস মাসে সমগ্র বাংলাদেশের নদ-নদী থেকে জাটকা ধরা নিষিদ্ধকরণ এবং অক্টোবরে ২২ দিন মা-মাছ রক্ষার কর্মসুচি থাকায় ইলিশ উৎপাদন প্রতিবছরই বৃদ্ধি পাচ্ছে ।’
তিনিা বলেন,‘ সারাদেশে এবার ইলিশ উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা পৌনে ৬ লাখ মে.টন হওয়ার সম্ভাবনা বলে তিনি আশাবাদী। কেননা গত বছর ইলিশ উৎপাদন হয়েছে ৫ লাখ ৬৫ হাজার মে.টন। বিগত কয়েক বছরে চাঁদপুরের ইলিশের গড় উৎপাদন ৪০ হাজার মে.টন। প্রতিবছর ১৪-১৫ হাজার মে.টন ইলিশ উৎপাদন বাড়ছে। ইলিশ উৎপাদনের সূচকের গড় হিসেবে তিনি এ কথা বলেন।’
কিভাবে সম্ভব এর প্রশ্নের আলোকে দেশ বরেণ্য ইলিশ গবেষক ড.আনিসুর রহমান বলেন,’যে পদ্ধতি অবলম্বন করে জাটকা রক্ষা কর্মসূচি ও মা ইলিশ রক্ষা কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে এর ফলেই এটা সম্ভব বলে তিনি মনে করেন। এ ছাড়াও বর্তমানে দেশের ইলিশ বিচরণের আরো একটি অভয়াশ্রম বৃদ্ধি পেয়েছে।’
দেশের প্রজননের সময় জাটকা ধরা নিষিদ্ধকরণ ও ইলিশ ধরা বন্ধসহ সরকারের নানামুখী পদক্ষেপে ইলিশের উৎপাদন বাড়ার এ সম্ভাবনার কথা বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট, নদীকেন্দ্র চাঁদপুরের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও দেশের খ্যাতিমান ইলিশ গবেষক ড.আনিছুর রহমান জানালেন।
২০১৬-১৭ সাল থেকে মৎস্য বিভাগের ইলিশ গবেষকগণ অত্যন্ত দক্ষতার সহিত পরীক্ষা করে দেখছে যে প্রতিবছর ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত প্রতিদিন মিঠা পানি থেকে বেরিয়ে ইলিশ যখন সাগরে প্রবেশ করে তখন তারা ওখানে ৬৫ দিন বড় হতে থাকে। যার ফলে সমুদ্রেও অনাকাংক্ষিত জাটকা নিধন ও মা ইলিশ ধরা বন্ধ থাকায় আমাদের ইলিশ উৎপাদন দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
দেশের চলমান ৭ টি অভয়াশ্রম সুরক্ষিত রাখতে অব্যাহত প্রচেষ্ট থাকলে আমরা অবশ্যই আমাদের কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবো। গত বছর অক্টোবর মাসে ৫১.০২ % মা ইলিশ ডিম ছেড়েছে। ইলিশ উৎপাদনে এটা একটা নতুনমাত্রা। আমাদের দেশে এখন ৭ টি অভয়াশ্রম রয়েছে। বরিশালের হিজলাকে ২০২১-২২ অর্থবছরে আরো একটি ইলিশের অভয়াশ্রম হিসেবে দেশের মৎস্য বিভাগ ঘোষণা দিয়েছে।
এবার এ ব্যাপারে দেশে গত অর্থবছরে ইলিশ উৎপাদন ছিল ৫ লাখ ৬৫ হাজার মে.টন। অথচ ২০০২-২০০৩ অর্থবছরে ইলিশের উৎপাদন ছিল ১ লাখ ৯৯ হাজার মে.টন। চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরে তা বেড়ে ৫ লাখ ৭৫ হাজার মে.টনে হওয়ার কথা রয়েছে।
এদিকে বুড়িগঙ্গা ও শীতলক্ষা নদীদিয়ে প্রবাহিত হওয়া কালো, দুর্গন্ধময় ও দূষিত পানি মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া পেরিয়ে মেঘনায় ষাটনল পর্যন্ত মিশে গিয়ে ভাটিতে প্রবেশ করছে ;এতে মেঘনার দু’তীরের কৃষি, জীববৈচিত্র্য ও মৎস্য সম্পদের কী প্রভাব পড়তে পারে- এ প্রসঙ্গে উত্তরে তিনি বলেন,‘এটা খারাপ লক্ষণ। কেননা দিন দিন এর পরিমাণ বাড়তে থাকলে ইলিশ ও অন্যান্য প্রাণীজ সম্পদের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। পানির স্বাভাবিক গুণাগুণ ও পানিতে খাদ্যের পরিমাণ নষ্ট হলে বা সঠিক না থাকলে নেতিবাচক প্রভাব পড়বেই।’
প্রসঙ্গত, ইলিশ এ দেশের জাতীয় প্রাকৃতিক সম্পদ। তাই এর রক্ষণাবেক্ষণ বা সংরক্ষণ করা দেশের প্রতিটি নাগরিকের দায়িত্ব ও কর্তব্য। মধ্যপ্রাচ্যের তৈল সমৃদ্ধ দেশগুলোর মত ইলিশকে আমাদের দেশের প্রাকৃতিক সম্পদ বলা চলে। পৃথিবীর অন্যতম পুষ্টিকর ও সুস্বাদু মাছ হলো এ ইলিশ। ইলিশের জীবনবৈচিত্র্য খুবই তাৎপার্যপূর্ণ।
ইলিশ শুধু ডিম ছাড়ার সময় হলেই মেঘনাসহ অন্যান্য আমাদের দেশের নদী-নদীর মিঠাপানিতে প্রবেশ করে। যে অবস্থানে ইলিশ বিচারণ করে তার নাম হলো অভয়াশ্রম।
চাঁূদপুরের উত্তরে ষাট নল হতে চর আলেকজান্ডার পর্যন্ত ১০০কি.মি। চাঁদপুর হতে পশ্চিম দিকে পদ্মার ৪০ কি.মি এলাকা চাঁদপুরের অভয়াশ্রমের সীমানা বিস্তৃত ইলিশের উৎপাদনকে গুরুত্ব দিয়ে সরকার সমুদ্রে সংরক্ষিত অঞ্চল ঘোষণা করেছেন আরো ৩ হাজার ১ শ ৮৮ বর্গ কি.মি.এলাকা।
ইলিশের উৎপাদন বাড়াতে দেশের সব প্রজননগুলোতে ২২ দিন ইলিশ প্রজনন মৌসুম ঘোষণা করে থাকে সরকার। এ সময়ের মধ্যে ইলিশ ধরা,আহরণ,বিক্রি ও বিপণন বন্ধ থাকবে। ইলিশের এ প্রজনন সময়ে সরকারের মানবিক খাদ্য সহায়তা কর্মসূচির আওতায় চলতি অর্থবছরে জেলেদের ভিজিএফ চাল বরাদ্দ করা হয়েছে।
এ সহায়তা কর্মসূচির আওতায় ৩৬টি জেলার ১৫২টি উপজেলায় মা ইলিশ আহরণে বিরত থাকা ৫ লাখ ২৮ হাজার ৩৪২টি জেলে পরিবারের জন্য ৪০ কেজি হারে ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুম শুরুর আগেই এ বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে। এ মৌসুমে গত মৌসুমের তুলনায় অতিরিক্ত ১ লাখ ২০ হাজার ২৬৩টি জেলে পরিবারকে এ খাদ্য সহায়তা দেয়া হবে ।
সম্প্রতি ইলিশ উৎপাদন বৃদ্ধিতে অধিক মাত্রায় ডিমওয়ালা ইলিশ ও জাটকা আহরণ বন্ধ করে মাছের অবাধ প্রজনন এবং বিচরণের সুযোগ সৃষ্টি করে ও সহনশীল উৎপাদন বজায় রাখলে ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধি হচ্ছ্। এবার নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি,জাটকা সংরক্ষণ,মা ইলিশ আহরোণ বন্ধ রাখায় এ ইলিশের উৎপাদন বাড়ছে। বরিশাল অঞ্চলের নদ-নদীসমুহ আরো ইলিশ সমৃদ্ধ হওয়ার ব্যাপারে অভয়াশ্রমটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এমনকি ভৌগলিক অবস্থানগত কারণেও অঞ্চলটি ৮২ কি.মি.অভয়াশ্রম হিসেবে ঘোষণার যোগ্য ।
এ প্রেক্ষাপটে এ অঞ্চলকে ৬ষ্ঠ অভয়াশ্রম হিসেবে ঘোষণা ও স্থাপনের নির্মিত্তে জোর সুপারিশ করে তা বাস্তবায়ন করা হয়েছে । এক একটি অভয়াশ্রম হচেছ এক একটি রূপালী ইলিশ উৎপাদনের কারখানা। প্রয়োজন শুধু ধারাবাহিকভাবে বাস্তবায়ন। তাহলেই বাংলাদেশের জলসীমায় ইলিশ সম্পদ উন্নয়নের ও সহনশীল উৎপাদনের গতিধারা বজায় থাকবে এবং জীববৈচিত্র্যে সমৃদ্ধ হবে।
ইলিশ ডিম ছাড়ার সময় হলেই তারা প্রাকৃতিকভাবে সমুদ্রের লোনা পানি ছেড়ে মিঠাপানির নদ-নদীতে প্রবেশ করে। একটি স্ত্রী জাতীয় ইলিশ মাছ একবার ১৫ লাখ থেকে ৩০ লাখ পর্যন্ত ডিম ছাড়ার জন্য সমুদ্র পথ পাড়ি দিয়ে মিঠাপানিতে আসে। প্রকৃতিগতভাবে ভবিষ্য বংশধর টিকিয়ে রাখতে এমনটি করে থাকে বোধ হয় ইলিশ।
মুক্তভাবে বিচরণ করে ডিম ছাড়ার পর পর এগুলো আবার লোনা পানিতে পেট খালি লম্বা লিক লিকে দেহ নিয়ে চলে যায়। ডিম ছাড়ার পর ইলিশের রেণু মিঠাপানিতে ধীরে ধীরে বড় হতে থাকে। হয় জাটকা ,হয় তথাকথিত টেম্পুইলিশ। নির্বোধ জেলারা তা বড় হতে না হতে এক প্রকার রাষ্ঠ্রীয়ভাবে নিষেধ এমন কারেন্ট জাল দিয়ে সেগুলো আবার ধরতে থাকে।
কারেন্ট জালের বৈশিষ্ট হলো সাদা, মসৃন ও চিকন । ইলিশ যখন দ্রুত পানিতে খাবারের তাগিদে ছুটতে থাকে তখন তাদের চোখে জালের রং এর মত পানির রং হওয়ায় বুঝতে পারে না বলেই আটকে যায় কারেন্ট জালে । আটকানোর সাথে সাথেই মারা যায়।
ওয়ার্ল্ড ফিস সংস্থার এক তথ্যে জানা গেছে,বিশ্বের প্রায় ৮৬% ইলিশ বাংলাদেশে। এর একটির গড় ওজন বর্তমানে ৯৫০ গ্রাম । ২০১৪ সালে এর গড় ওজন ছিল ৫১০ গ্রাম । বর্তমান গবেষকদের মতে, ২০২০-২১ অর্থবছর ৯৫০ গ্রাম হয়েছে। অথচ পার্শ্ববর্তী দেশগুলোতে ওজনের গড় ৫শ গ্রাম ।
পর্যলোচনা করে দেখা যায়- ইলিশের অর্থনৈতিকভাবে মূল্যায়ন করলে পৃথিবীর বিভিন্ন বিদেশ থেকে আমদানি করা এক লিটার অকটেনের মূল্য ৯৮ টাকা, ১ লিটার পেট্রোলের মূল্য ৯৬ টাকা এবং ১ লিটার ডিজেলের মূল্য ৬৮ টাকা করে বিক্রি আমাদের দেশের পেট্রোল পাম্পগুলো। সে হিসেবে আমাদের দেশের নদ-নদী থেকে আহরিত একই ওজনের ইলিশের মূল্য ৮শ থেকে ১ হাজার টাকা। তাহলে বুঝতে বাকি নেই যে এটা কতটুকু মূল্যমানের মাছ এবং কতটুকু এর চাহিদা পৃথিবীর সর্বত্র। পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ ও সু-স্বাধূ বলেই পৃথিবীর সকল দেশে এর চাহিদা রয়েছে। অর্থনীতিবিদদের মতে, চাহিদা বাড়লে দামও বাড়ে।
চাঁদপুরে ২০টি নদীভাঙ্গনগ্রস্থ ইউনিয়ন ও ১১ টি বিচ্ছিন্ন চরাঞ্চলে কম হলেও ৩ লাখ লোক স্থায়ীভাবে বসবাস করছে। এ নারী-পুরুষের প্রধান উপজীবিকা হলো মৎস্য আহরণ,কৃষিকাজ করা ও শাক-সবজি উৎপাদন,হাসঁ-মুরগি ও গবাদি পশু প্রতিপালন করা। বছরের নানা ঋতু বৈচিত্র্যের সাথে তাল মিলিয়ে এরা জীবন-জীবিকা চালিয়ে থাকে।
মৎস্য বিভাগের দেয়া এক তথ্যে জানা গেছে-দেশের নদীতীরবর্তী ও নদীবিধৌত এলাকায় ২% অধিবাসী ইলিশ মাছ আহরণে, মজুত ,সরবরাহ ,বাজারজাতকরণ ,আড়ৎদারি ,বরফ ব্যবসা,বরফ মিল শ্রমিক ও মালিক সম্পৃক্ত। সুতরাং ২% লোক কিনা দেশের ৯৮% নাগরিকের জাতীয় সম্পদ এভাবে নষ্ট করবে- তা কেউ বোধ হয় মেনে নেবে না। কেবল জীবন বাঁচানোর দাবিতে রাতের অন্ধকারে ঐ মৌসুমি তথাকথিত জেলে আমাদের এ সম্পদকে ধ্বংস করবে তা দেয়া যেতে পারে না । নদীরতীরবর্তী এলাকার জনপ্রতিনিধি ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের গতবছর মা ইলিশ রক্ষায় একত্রে কাজ করার আহ্বানও জানিয়েছিলেন চাঁদপুর জেলা প্রশাসক মো.মাসুদুর রহমান খান ।
ইলিশের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ৬ লাখ মে.টন। গেলো বছর ১৪ অক্টোবর থেকে ৪ নভেম্বর পর্যন্ত এ ২২ দিন ইলিশ ধরা,মজুত ও বাজারজাতকরণ বন্ধ রাখা হয়। এটা মৎস্য বিজ্ঞনিীদের বিজ্ঞানভিত্তিক হিসেব।’ দেশের ৩৬টি জেলার ১৫৩ টি উপজেলায় ৫ লাখ ২৮ হাজার ৩ শ ৪২ পরিবারকে খাদ্য সহায়তা দেয়া হচ্ছে । এ জন্য সরকার প্রতি বছর গড়ে ১০ হাজার ৫শ মে.টন চাল বরাদ্দ দিয়ে থাকে।
এদিকে প্রতিবছর দেশের অভ্যন্তরে গড়ে ৩৪ হাজার কোটি টাকার ইলিশ মাছের বাজার লেন দেন হয়ে থাকে। ২৫ লাখ লোক পরোক্ষ ও প্রত্যক্ষভাবে ইলিশ আহরোণ,বিক্রি,বাজারজাতকরণ ও ব্যবসায় সংযুক্ত রয়েছে । (পুন:প্রচার করা হলো )
আবদুল গনি,
৬ মার্চ ২০২২