অন্য সবকিছুর মতো রাজধানীর গুলশান-বনানীর বাজারে ইলিশগুলোর চেহারা ও দামে বেশ আভিজাত্যের ছোঁয়া। এসব বাজারে অধিকাংশ ইলিশ যেমন আকারে বড়, তেমনি দামও আশপাশের বাজারের তুলনায় বেশি।
২৩ আগস্ট সোমবার গুলশান-১ ও ২ নম্বর এবং বনানী কাঁচাবাজার ঘুরে এমনটা দেখা গেছে।
গুলশান ১ নম্বর বাজারে দেখা যায়, এখানে দেড় কেজি ওজনের এক হালি ইলিশের দাম ১০ হাজার টাকা হাঁকছেন বিক্রেতা শফিক হোসেন। একজন ক্রেতা ছয় হাজার টাকা দাম বলেন। কিন্তু তাকে পাত্তা না দিয়ে অন্য ক্রেতার দিকে ব্যস্ত হয়ে যান তিনি।
জানতে চাইলে বিক্রেতা বলেন, ‘বাজারে ক্রেতা দেখে চেনা যায়। যারা কেনে তারা দাম নিয়ে ঝুলাঝুলি করে না।’
বাজার ঘুরে দেখা যায়, গুলশানে যে ইলিশের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৪শ’ থেকে ১৮শ’ টাকা, সেখানে পাশের বাড্ডা অথবা শাহজাহানপুর বাজারে এসব ইলিশ ১০০-২০০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে।
এ বিষয়ে কয়েকজন মাছ বিক্রেতার সঙ্গে কথা বললে তাদের দাবি, অভিজাত এলাকার বাজারে সবচেয়ে সেরা মাছ এনে বিক্রি করা হয়। সেটার জন্য অবশ্যই ভালো দাম দিতে হবে।
আবার কেউ বলেন, সাধারণত ইলিশের দাম নির্ভর করে সাইজের ওপর। পাইকারিতেও এক সাইজের বড় ইলিশের দাম ছোট-বড় মেশানো ইলিশের থেকে অনেক বেশি।
এদিকে দেখা গেছে, ঢাকার আড়তগুলোতে প্রতিকেজি ইলিশ সর্বোচ্চ এক হাজার টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে তা খুচরা বাজারে এসে ১২শ’ থেকে ১৪শ’ টাকা হয়ে যাচ্ছে।
ইলিশের ভরা মৌসুমে দাম বেশি হওয়ার বিষয়ে পাইকারি ব্যবসায়ীরা জানান, সরবরাহ ঘাটতি থাকায় ইলিশের দাম কিছুটা বেশি। তবে সামনে দাম আরও কমতে পারে বলে দাবি তাদের।
জালাল উদ্দীন নামের বিক্রেতা বলেন, সামনে আরও বেশি ইলিশ ধরা পড়বে। কারণ এখনই ইলিশ ধরার প্রকৃত মৌসুম। তাই দাম আরও কিছুটা কমবে।
তিনি বলেন, অন্যান্য বাজারে মাঝারি সাইজের ইলিশের চাহিদা বেশি। কারণ, মধ্যবিত্তরা এই সাইজের ইলিশ কিনতে চান। কিন্তু এসব (গুলশান-বনানী) বাজারে বড় ইলিশের চাহিদা বেশি।
বড় ইলিশ ভারতে পাচার হয়ে যায় অভিযোগ করে এ বিক্রেতা বলেন, করোনার কারণে রপ্তানি অন্য বছরের তুলনায় কম হওয়ায় দেশে ইলিশের দাম আরও কিছুটা কমবে।
কয়েকজন বিক্রেতা বলেন, ইলিশের দাম সার্বিকভাবে বেশি হলেও বড় সাইজের মাছের দাম এ বছর কম। এখন যে ইলিশ ১৮ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে, গত বছর সেটার দাম ছিল ২০-২২ হাজার টাকা।
অনলাইন ডেস্ক, ২৩ আগস্ট ২০২১