চাঁদপুর

জাতীয় সম্পদ ইলিশ রক্ষায় কাউকেই ছাড় দেয়া যাবে না : জেলা প্রশাসক

চাঁদপুর জেলা প্রশাসক (যুগ্ম-সচিব) মো. আব্দুস সবুর মন্ডল বলেছেন, নদীর মধ্যে কোনো জেলে নেমে পড়লে তা প্রতিরোধ করার দায়িত্ব নৌ-পুলিশ, কোস্ট গার্ড এবং ইউনিয়নের গ্রাম পুলিশের। গত বছব আমাদের বর্তমান আইজিপি জাবেদ পাটোয়ারী আমাদেরকে সাহায্য করেছেন এখনো তিনি এসব বিষয়ে নজর রাখবেন।

মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রæয়ারি) বিকেল ৩টায় চাঁদপুর জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে জাটকা রক্ষা এবং মার্চ-এপ্রিল মাসে ইলিশ অভয়াশ্রম কার্যক্রম বাস্তবায়ন বিষয়ে পদ্মা ও মেঘনা নদীর তীরবর্তী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ও পৌর কাউন্সিলর, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, সংশ্লিষ্ট সিনিয়র বা উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও মৎস্যজীবী নের্তৃবৃন্দকে নিয়ে মতবিনিময় সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, ‘চাঁদপুরে ইলিশ না থাকলে ইলিশের বাড়ি হতো না। ইলিশের কারণে সারা বিশে^ চাঁদপুরকে চিনে। যদি ইলিশ না থাকে তাহলে ইলিশের বাড়ি বলা শোভা পাবে না । সরকার মনে করেছে চাঁদপুরের একটি পরিবর্তন ঘটেছে। তাই তিনি জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার দিতে ভেবে চিন্তে দিবেন। আমি সরকারকে ধন্যবাদ জানাই। সরকার বেঁচে বেঁচে জেলা প্রশাসক নির্বাচিত করেছেন। যাঁরা জেলা প্রাশাসক হিসেবে আসতে চেয়েছেন তাদেরকে আসতে দেন নি। তিনি ভালো জেলা প্রশাসক নিয়োগ দিয়েছেন।’

বিগত বছরের কাজের বিবরণ দিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি এ জেলায় দু’বছর ৮ মাস ধরে কাজ করছি। আমার সাথে কোন ডিপার্টমেন্টের (সরকারি বিভাগের) বধন্যতা হয়নি। আমি সকলকে নিয়ে নিরলস কাজ করছি বিধায় জাতি ইলিশ মাছ খেতে পেরেছে। আপনারা কাজ না করলে ইলিশের বাড়ির নাম থাকবে না। আর আমরা যারা প্রশাসনের দায়িত্ব নিয়ে কাজ করছি, হয়তো একদিন আমরা থাকবো না। সুতরাং যারা এখানকার স্থায়ী বাসিন্দা তারা আন্তরিক হতে হবে।

তিনি বলেন, জাতীয় সম্পদ ইলিশের পোনা জাটকা রক্ষায় কাউকেই ছাড় দেয়া যাবে না। কেননা ইলিশের বাড়ি চাঁদপুর নামে খ্যাত অর্জন করেছে। এ অর্জন ধরে রাখার দায়িত্ব চাঁদপুরবাসীর। কেবল জেলা প্রশাসক দেখবেন, নির্দেশ দিবেন এমটা নয়। আমি ভাড়াটিয়া। সরকার আমাকে বেতন দেয়। আমি সরকারের হয়ে কাজ করেছি।

এসময় আরো বক্তব্যে রাখেন, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজেস্ট্রেট আয়েশা আক্তার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) শওকত ওসমান, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আসাদুল্লা বাকি, কোস্ট গার্ড স্টেশন কমান্ডার জামাল উদ্দিন, চাঁদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কানিজ ফাতেমা, চাঁদপুর সদর নৌ-পুলিশ অফিসার ইনচার্জ মো. আবুল হাসেম, চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি ও দৈনিক চাঁদপুর খবরের সম্পাদক ও প্রকাশক সোহেল রুশদী, চাঁদপুর পৌরসভার প্যানেল চেয়ারম্যান ছিদ্দিকুর রহামান ঢালি, কমিউনিটি পুলিশের সিভিআই মো. হারুনু রশীদ, ১৪ নং রাজরজেস্বরের ইউপি চেয়ারম্যান হযরত আলী, বালিয়া ইউপি চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম, হানাচর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস সাত্তার, ফরাযীকান্দী ইউপি চেয়ারম্যান মো. সফিকুল ইসলাম, হাইমচর প্রতিনিধি মনিরুল ইসলাম দুলাল পাটওয়ারী ওমর আলী প্রধান মতলব উত্তর, জেলা ইমাম সমিতিরি সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুর রহমান গাজী প্রমুখ।

সভায় বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও সচিবসহ প্রশাসনের বিভিন্ন স্থরের কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

প্রতিবেদক- আহম্মদ উল্যাহ

Share