রাজনীতি

ইভিএমের ব্যাপারে তেমন কোনো অভিযোগ উত্থাপিত হয়নি : তথ্যমন্ত্রী

তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, ‘ইভিএম হচ্ছে একটি আধুনিক প্রযুক্তি। পুরো ভারতবর্ষে তাদের সাধারণ নির্বাচন ইভিএমের মাধ্যমে হয়েছে। ইভিএমের ব্যাপারে তেমন কোনো অভিযোগ উত্থাপিত হয়নি। যুক্তরাষ্ট্রে ইভিএমের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ হয়। আধুনিক প্রযুক্তিতে ভোটগ্রহণের বিরোধীতা কেন বিএনপি করছে সেটি আমার বোধগম্য নয়। বিএনপি সবসময় আধুনিক প্রযুক্তির বিরোধীতা করে। তারা সম্ভবত প্রযুক্তিকে ভয় পায়।অথবা তারা নির্বাচনে পরাজয়ের আভাস লক্ষ্য করে নিজেদের মুখ রক্ষার জন্য নানা ধরনের অভিযোগ তুলে এখনই নির্বাচনটাকে প্রশ্নবিদ্ধ করার প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে এই প্রশ্নগুলো উপস্থাপন করছে।’

২৭ জানুয়ারি সোমবার সমসাময়িক ইস্যু নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ এ কথা বলেন।

হাছান মাহমুদ বলেন,‘তারা ইভিএমের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে গিয়েছিল, তারা সর্বোচ্চ আদালতে ইভিএমের ব্যাপারে নালিশ নিয়ে গিয়েছিল, হাইকোর্ট তাদের পক্ষে রায় দেয়নি। যেটি হাইকোর্ট রিজেক্ট করে দিয়েছে। একই নালিশ বিদেশিদের সামনে গিয়ে উপস্থাপন করা, এটি তো আদালত আবমাননার শামিল। যেকোনো নির্বাচন নিয়ে বিদেশিদের কাছে নালিশ করা নির্বাচনী প্রপাগান্ডা নিয়ে ছোটখাট ঘটনা যেগুলো হচ্ছে সেগুলো নিয়ে বিদেশিদের কাছে নালিশ করা এটিও তো এক প্রকার নির্বাচন আচরণ বিধি লঙ্ঘন।’

নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদারের ‘নির্বাচন কমিশনেই লেভেল প্লেইং ফিল্ড নেই’ এ মন্তব্যে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে মন্ত্রী বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনার পদটি একটি সাংবিধানিক পদ, যেমন হাইকোর্টের বিচারপতিও সাংবিধানিক পদ। হাইকোর্টের কোনো বিচারপতি যেমন তাদের আভ্যন্তরীণ বিষয় কখনো জনসম্মুখে উপস্থাপন করেন না। কারণ, সেটি নিয়ম নয় এবং সাংবিধানিক পদে থেকে সেটি করা সমীচিন নয়। কারণ, এগুলো একান্তই আভ্যন্তরীণ বিষয়। সুতরাং সাংবিধানিক পদে থেকে নিজেদের কর্মপরিবেশ নিয়ে নিজেদের ফোরামে কথা বলাই বাঞ্ছনীয়। সেটি জনসম্মুখে বলা সাংবিধানিক পদধারী হিসেবে তিনি যে শপথ নিয়েছে সেই শপথের বরখেলাপ কিনা, সেই প্রশ্ন অনেকেই রেখেছেন।’

এ বিষয়ে আওয়ামী লীগ নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ করবে কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘দলীয় ফোরামে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’

পুরান ঢাকার গোপীবাগে সংঘর্ষের ঘটনার বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘কে প্রথম হামলা শুরু করেছে, সেটা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখে নির্বাচন কমিশন ব্যবস্থা নেবে। এটা সরকারের বিষয় না। তবে উস্কানিমূলক স্লোগান দেয়াও এক প্রকার নির্বাচনের আচরণবিধি লঙ্ঘন।’

রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমগুলোতে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর প্রচারণার কাভারেজ দেয়া হলেও বিএনপির প্রার্থীর কোনো প্রচার-প্রচারণার খবর আসে না কেন?- এমন প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘এসব সংস্থার সবগুলোই স্বাধীনভাবে কাজ করে। এগুলো মন্ত্রণালয়ের অধীনে পরিচালিত হয় না। মন্ত্রণালয় শুধু দেখভাল করে। সেখানে যদি তারা (বিএনপি) প্রচারণার বিষয়গুলো উপস্থাপন করে নিশ্চয়ই সেই সংস্থাগুলো এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নিতে পারে।’

চাঁদপুর টাইমস রিপোট

Share