সামনেই দুই সিটি নির্বাচন। এ ছাড়া রয়েছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে শূন্য আসনে জাতীয় নির্বাচন। এসব নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করতে চায় নির্বাচন কমিশন। আর এ কারণে ‘নির্বাচন ব্যবস্থায় তথ্য-প্রযুক্তি প্রয়োগের লক্ষ্যে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার’ বিষয়ক প্রকল্পের আওতায় ৩৭১ কোটি ৬৪ লাখ টাকা চেয়েছে কমিশন। ইতিমধ্যে পরিকল্পনা কমিশন এতে সম্মতি দিয়েছে। তবে ‘বিশেষ প্রয়োজনে উন্নয়ন সহায়তা’ খাতে পর্যাপ্ত টাকা না থাকায় ৩৭১ কোটি টাকা বরাদ্দের জন্য গত সপ্তাহে অর্থমন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠিয়েছে পরিকল্পনা কমিশন। পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
সূত্রমতে, নির্বাচন কমিশন সচিবালয় এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে। প্রকল্পটি গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে একনেক সভায় অনুমোদিত হয়েছে। প্রকল্পের মোট প্রাক্কলিত ব্যয় তিন হাজার ৮২৫ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। প্রকল্পের শুরু থেকে এ পর্যন্ত মোট এক লাখ ১৬ হাজারটি ইভিএম কেনা হয়েছে। এর মাধ্যমে বিভিন্ন পর্যায়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ছয়টি আসনের সব ভোটকেন্দ্রে ইভিএমের মাধ্যমে ভোট নেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া ২০১৮ সাল থেকে গত বছরের ২০ জুন পর্যন্ত বিভিন্ন সিটি করপোরেশন নির্বাচন ও উপজেলা পরিষদ নির্বাচন এবং জাতীয় সংসদের ২১ রংপুর-৩ শূন্য আসনের উপনির্বাচনেও ইভিএম ব্যবহার করা হয়েছে। এ ছাড়া ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করা হবে। পরবর্তী সময়ে সারা দেশে পৌরসভা, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সর্বোচ্চসংখ্যক ইভিএম ব্যবহারের পরিকল্পনা করছে ইসি।
ইসি জানিয়েছে, ইভিএম ব্যবহারের জন্য বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন ডেলিগেটেড প্রকিউরমেন্ট অনুসরণ করে ‘সরাসরি ক্রয় প্রক্রিয়ায়’ বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মাধ্যমে বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরি থেকে দেড় লাখ ইভিএম ও আনুষঙ্গিক যন্ত্রপাতি কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ জন্য বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরির সঙ্গে সর্বমোট দুই হাজার ৮৪৪ কোটি ৯৬ লাখ টাকার চারটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। এর বিপরীতে মোট বিল পরিশোধ করা হয়েছে দুই হাজার ৪৩৯ কোটি টাকা। অর্থাৎ চুক্তি অনুসারে আরো ৪০৫ কোটি ৯৫ লাখ টাকা বাকি রয়েছে। এর মধ্যে ৩৭৪ কোটি টাকা পরিশোধের জন্য সেনাসদর থেকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। তাই বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) বরাদ্দকৃতে এক হাজার ১২৪ কোটি টাকার অতিরিক্ত ৩৭১ কোটি ৬৪ লাখ টাকা ‘বিশেষ প্রয়োজনে উন্নয়ন সহায়তা’ খাত থেকে বরাদ্দের অনুরোধ করে পরিকল্পনা কমিশনে চিঠি দিয়েছে ইসি। কিন্তু পরিকল্পনা কমিশন জানিয়েছে, চলতি এডিপিতে ‘বিশেষ প্রয়োজনে উন্নয়ন সহায়তা’ খাতে জিওবি বাবদ ৫০০ কোটি টাকা ছিল। কিন্তু কয়েকটি প্রকল্পে বরাদ্দ দেওয়ায় এ খাত থেকে টাকা দেওয়া সম্ভব নয়। তাই অতিরিক্ত এ অর্থ অর্থমন্ত্রণালয়কে দিতে বলেছে পরিকল্পনা কমিশন।
বার্তা কক্ষ,২৪ জানুয়ারি ২০২০
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur