চাঁদপুর

চাঁদপুর পৌর নির্বাচনে মেয়র পদে ইব্রাহীম জুয়েলের দলীয় মনোনয়ন সংগ্রহ

চাঁদপুর পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে বিএনপির দলীয় মনোনয়ন আবেদন ফরম সংগ্রহ করেছেন জেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কাজী মোহাম্মদ ইব্রাহীম জুয়েল। ৭ সেপ্টেম্বর সোমবার সন্ধ্যায় তিনি দলীয় নেতাকর্মী ও পারিবিক মুরব্বীদের সাথে নিয়ে জেলা বিএনপির দলীয় কার্যালয় থেকে এই মনোনয়ন আবেদন ফরম সংগ্রহ করেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন চাঁদপুর জেলা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক অ্যাড. সলিম উল্লাহ সেলিম, মাহবুব আনোয়ার বাবলু, খলিলুর রহমান গাজী, সদর থানা বিএনপির সভাপতি শাহজালাল মিশন, কাজী মোহাম্মদ ইব্রাহীম জুয়েলের চাচা রাজ্জাক কাজী, মামা ফারুক দেওয়ান, বড় ভাই কাজী নজরুল ইসলাম সোহেল, মামাতো ভাই হেলাল দেওয়ান, শ্যালক মোস্তাফিজুর রহমান, বন্ধু আজম খান প্রমুখ।

বিএনপির দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী সাবেক এই জনপ্রিয় ছাত্রনেতা কাজী মোহাম্মদ ইব্রাহীম জুয়েল বলেন, আমি ছাত্রজীবন থেকে চাঁদপুরে বিএনপির একজন সক্রিয় রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে দলের সকল রাজনীতির কর্মসূচি এবং আন্দোলন সংগ্রাম ছিলাম। তাই চাঁদপুর পৌরসভা নির্বাচনে আমি বিএনপি’র দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী। আমি আশা করি দল আমাকে মনোনয়ন দেবে। এজন্যে আমি দলের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মী ও সমর্থকদের দোয়া কামনা করছি।

তিনি আরো বলেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির প্রবাসী কল্যাণ বিষয় সম্পাদক ও জেলা বিএনপির সম্মানিত আহ্বায়ক শেখ ফরিদ আহমেদ মানিক ভাইয়ের নেতৃত্বে চাঁদপুরে বিএনপি ঐক্যবদ্ধ। আমারা সকলে মিলে ধানের শীষের বিজয় নিশ্চিত করতে কাজ করবো।

সমাজসেবক ও গণমানুষের প্রিয়ভাজন কাজী মোহাম্মদ ইব্রাহীম জুয়েলের জীবন ও কর্ম সম্পর্কে জানা যায়, তিনি ইতিবাচক ছাত্র রাজনীতি, সংগঠননীতি, সমাজসংস্কার ও সংস্কৃতিরক্ষার একজন নিরলস কর্মী।

ছাত্রজীবন থেকেই চাঁদপুরের সামাজিক, রাজনৈতিক অঙ্গন ও গণমাধ্যমে তাঁর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিলো। গরীব-দুঃখীদের লালন-পালনসহ সমাজসেবামূলক বিভিন্ন কর্মকা-ে রেখেছেন অগ্রণী ভূমিকা। এই পথপরিক্রমায় তিনি ফিরোজা হাফেজ হাফেজিয়া মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা।

কাজী মোহাম্মদ ইব্রাহীম জুয়েল চাঁদপুর শহরে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম বংশ কাজী পরিবারে ১৯৭৮ সালের ২ ডিসেম্বর জন্মগ্রহণ করেন। বাবা- মরহুম হাফেজ কাজী, মা ফিরোজা বেগম। পড়াশোনায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিনে হাসান মেমোরিয়াল ডিগ্রি কলেজ থেকে ১৯৯৭ সালে বি.কম, ১৯৯৫ সালে চাঁদপুর সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে থেকে এইচএসসি ও ১৯৯৩ সালে চাঁদপুর গনি মডেল উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাস করেন।

৯০এর দশকের মাঝামাঝি সময় চাঁদপুর ক্যাবল নেটওয়ার্কের মাধ্যমে জেলা শহরে স্যাটেলাইট সেবা চালু করেন। এরপর সাফল্যের ধারাবাহিকতায় তিনি আরো অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন।
বর্তমানে প্রযুক্তিকে উন্নয়নের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে জেলা শহরে ব্রডব্যান্ড সেবা চালু করেছেন। জেলা থেকে প্রকাশিত গণমাধ্যমগুলোতেও ছাত্রজীবন থেকেই তাঁর পদচারণা রয়েছে। এখনো গণমাধ্যম ও সংবাদকর্মীদের সুখে-দুঃখে অংশ নেন।

হাজারো গণমাধ্যমের ভিড়ে ডিজিটাল এই যুগে সব ধরনের পাঠক যাতে কম্পিউটার, ল্যাপটপ, মোবাইল কিংবা স্মার্টফোন থেকে তাৎক্ষণিক খবর, ভিডিও, ছবি দেখতে পারে সে জন্যে ‘চাঁদপুর টাইমস’ চালু করেন। বর্তমানে জেলার শীর্ষে থাকা এ নিউজ পোর্টালটি চাঁদপুর ডায়াবেটিক হাসপাতালের বিপরীতে তাঁর নিজস্ব বাণিজ্যিক কার্যালয় ফিরোজা হাফেজ শান্তি নিকেতন থেকে প্রকাশ হচ্ছে।
খেলাধুলার উন্নয়নেও সব সময় সচেষ্ট কাজী মোহাম্মদ ইব্রাহীম জুয়েল। জেলার তরুণ ও পেশাদার খেলোয়াড়দের জন্য রেখেছেন বিশেষ অবদান। পুরোনো এবং জনপ্রিয় ক্লাব মুক্তিযোদ্ধা ক্রীড়াচক্র চাঁদপুর ও চাঁদপুর ফুটবল একাডেমির সাধারণ সম্পাদক এবং নাজিরপাড়া ক্রীড়াচক্রে যুগ্ম সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন।

সংস্কৃতিকর্মীদের আপনজন ইব্রাহীম জুয়েল সাংস্কৃতিক কর্মকা-ে অংশ নেয়ার পাশাপাশি জেলার একাধিক সাংস্কৃতিক সংগঠনে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। বর্তমানে তিনি চাঁদপুর মঞ্চের সভাপতি । এছাড়া আমরা ক’জন সাহিত্যপ্রেমি, উপমা সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক পরিষদ, নবীন সাহিত্য পত্রিকা, বনলতা সাহিত্যপত্রের উপদেষ্টা হিসেব দায়িত্ব পালন করছেন।

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২০

Share