চাঁদপুর সদর উপজেলার ইব্রাহিমপুর ইউনিয়নের ঈদগাহ ফেরিঘাট ও লঞ্চঘাট ইজারা নিয়ে দ্বন্দ্বে বসতবাড়িতে সন্ত্রাসী হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই ঘটনায় নারী ও শিশুসহ প্রায় ১০/১২ জন আহত হয়েছে। গত ৬ জুলাই ইব্রাহিমপুর ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের ঈদগাহ বাজারে শেখ বাড়িতে এই হামলার ঘটনা ঘটে। এতে আহতরা হলেন, রুহুল আমিন শেখ, সুরুজ শেখ, কবির শেখ, কাদির শেখ, রাশেদা বেগম, খাদিজা বেগম, নাজমা আক্তার।
স্থানীয় আব্দুল রশিদের পুত্র মমিন দিদারে নেতৃত্বে এই হামলার ঘটনা ঘটানো হয় বলে জানায় আহত সুরুজ শেখ। এই ঘটনায় তিনি বাদী হয়ে চাঁদপুর আদালতে একটি মামলা দায়ের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন।
সিরাজুল ইসলাম সুরুজ শেখ জানান, ২০০০ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইব্রাহীমপুর ইউনিয়নের ইব্রাহীমপুর মৌজার ঈদগাহ ফেরিঘাট ও লঞ্চ ঘাট উদ্ভোধন করেন। এর পর থেকে যথারীতি ফেরী ও লঞ্চ চলাচল শুরু করে। কয়েক বছর পর পর একটি স্বার্থন্বেষী মহল শরিয়তপুর জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত গেল সরকারের এক মন্ত্রীর ক্ষমতার অপব্যবহার করে মূল ঘাট থেকে চলাচলের অনুপযোগী শাখা নদীর ভিতরে বেআইনীভাবে ঘাটটি শরীয়তপুরের নরসিংহপুরে নিয়ে যায়। বছরের প্রায় ৫ মাস সেই শাখা নদীর পানি শুকিয়ে যায়। তখন ফেরী ও লঞ্চ চলাচল সচল রাখতে নদী খনন করতে হয়। এতে সরকারের কোটি কোটি টাকা ক্ষতি হয়। এ বিষয়ে উল্লেখ করে আমি কয়েক মাস পূর্বে ‘আলুর বাজার ফেরী ও লঞ্চ ঘাট পূর্বের জায়গায় স্থানান্তর প্রসঙ্গে’ বিআইডব্লিউটিএ এর চেয়ারম্যান বরাবর একটি আবেদন করেছি।
সুরুজ শেখ আরো জানান, কিছুদিন আগে ঈদগাহ ফেরিঘাটের নতুন ইজারাদার নিয়োগ দেওয়া হয়। এতে পূর্বে যারা ঘাটের ইজারাদার দায়িত্বে ছিল তারা উল্লেখিত দুটি বিষয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে মমিন দিদারের নেতৃত্বে মুক্তার দিদার, বিল্লাল দিদার, হেলাল দিদার, আজমল দিদার, সিরাজ দেওয়ান, লিটন গাজিসহ অজ্ঞাত প্রায় ৪০ জন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ৬ জুলাই বিকেল তিনটায় আমাদের বাড়িতে হামলা চালায়। তারা আমার বৃদ্ধ বাবা রুহুল আমিন শেখ সহ পরিবারের নারী ও শিশুদের পিটিয়ে রক্তাক্ত আহত করে। হামলাকারীরা আমাদের বসতঘর কুপিয়ে ভাঙচুর করে নগদ অর্থ, স্বর্ণালংকারসহ মূল্যবান মালামাল লুটপাট করে নিয়ে যায়। আমরা যাতে আইনের আশ্রয় নিতে না পারি, এজন্য আমাদের নানাভাবে ভয় ভীতি এবং চাপ প্রয়োগ করছে। অভিযুক্তরা ৭জুলাই রাতে আমার ভাই তারা মিয়াকে গুম করার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে উঠিয়ে নিয়ে যায়। বিষয়টি জানাজানি হয়ে গেলে তারা উপায়ান্তর না পেয়ে আমার ভাইকে শরীয়তপুরের সখিপুর থানা পুলিশের কাছে তুলে দেয়। পরে সখিপুর থানা পুলিশ আমার ভাই তারা মিয়াকে চাঁদপুর সদর থানায় হস্তান্তর করে। আমি এবং আমার পরিবার প্রশাসনের কাছে এর সঠিক বিচার এবং জীবনের নিরাপত্তা কামনা করছি।
প্রতিবেদক: আশিক বিন রহিম, ৮ জুলাই ২০২৫
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur