চাঁদপুর সদর উপজেলার ১১নং ইব্রাহিমপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী আবুল কাশেম খানের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা দায়েরের প্রতিবাদে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
৫ জানুয়ারি মঙ্গলবার বিকেলে ইব্রাহিমপুর ইউনিয়ন পরিষদের অস্থায়ী কার্যালয়ের সামনে এই মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা অনু্ষ্ঠিত হয়। এতে ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ড ও গ্রাম থেকে প্রায় ৩ হাজার নারী ও পুরুষ অংশগ্রহণ করে।
প্রতিবাদ সভায় বক্তারা বলেন, আমাদের ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অত্যন্ত ভালো, সামাজিক এবং ধার্মিক মানুষ। তিনি যাতে আগামী নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হতে না পারেন, তাই একটি কুচক্রী মহলের চক্রান্তে পরিষদের বহিষ্কৃত গ্রাম পুলিশের স্ত্রী তার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে। আমরা এই ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং ওই কুচক্রী মহল এবং মামলা দায়ের কারীর বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করছি।
মামলা দায়ের করা মনোয়ারা বেগমের পিতা বশির আলী ঢালি, অলি ঢালি ও বোন হাফেজা বেগম বলেন, আমাদের চেয়ারম্যান একজন ভালো মানুষ। তিনি অত্যন্ত সৎ এবং
পরোপকারী মানুষ। উনার বিরুদ্ধে যে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে মামলা দায়ের করেছে, আমরা এর নিন্দা এবং ঘৃণা জানাই।
ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী আবুল কাশেম খান বলেন, পরিষদের গ্রাম পুলিশ সিদ্দিক খানের প্রথম স্ত্রী ও ছেলে সন্তান রেখে এক বছর আগে স্বামীপরিত্যক্তা মনোয়ারা বেগমকে দ্বিতীয় বিয়ে করে। এতে সিদ্দিকের বাবা-মা স্ত্রী-সন্তান আমার কাছে লিখিত অভিযোগ করে।
এই বিষয়ে আমি তাকে শাসন করলে সে পরিষদে আসা বন্ধ করে দেয়। বাধ্য হয়ে আমি তাকে মৌখিকভাবে অব্যাহতি প্রদান করি। মূলত এই ঘটনায় সে ক্ষিপ্ত হয়ে এবং আগামি নির্বাচনকে সামনে রেখে একটি কুচক্রী মহলের ইদন্দে তার দ্বিতীয় স্ত্রীকে দিয়ে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে।
আবুল কাশেম খান আরও বলেন, আমি প্রশাসনের কাছে ওই নারী, গ্রাম পুলিশ এবং কুচক্রী মহলের বিচার দাবি করছি। আমি যদি অপরাধী হয়ে থাকি তাহলে আমার বিচার করা হোক। আর যে কুচক্রী মহলের প্ররোচনায় ওই নারী আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে মামলা করেছে আমি তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করছি।
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন ইব্রাহিমপুর ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার মিজান বেপারী, আনোয়ার মোল্লা, মান্নান গাজী, আমান রাঢ়ি, নাজির বেপারী, সেলিম বেপারী, সিরাজ দিদার, মহিলা মেম্বার জেসমিন বেগম, শান্তাজ বেগমসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
প্রতিবেদক:আশিক বিন রহিম,৫ জানুয়ারি ২০২১