ইফার একক সিদ্ধান্তে জুমার খুতবা : সংসদীয় কমিটির ক্ষোভ

গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারি ও কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় জঙ্গি হামলার ঘটনার পর জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমসহ দেশব্যাপী মসজিদগুলোতে সরবরাহকৃত জুমার খুতবা এককভাবে নির্ধারণ করেছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন (ইফা)।

সংসদীয় কমিটি কিংবা আলেম ওলামাদের মতামত না নিয়েই এটি করা হয়েছে। যে কারণে নির্ধারিত খুতবায় আরো অনেক বিষয় অন্তর্ভূক্ত করার প্রয়োজন থাকলেও সেসব বাদ পড়েছে।

রবিবার (২৪ জুলাই) জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত ধর্ম মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এনিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়েছে। এ বিষয়ে ইফাকে সতর্ক করার পাশাপাশি ভবিষ্যতে একক সিদ্ধান্তে খুতবা নির্ধারণ না করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। কমিটির সভাপতি বজলুল হক হারুনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কার্যক্রমের সঙ্গে সংসদীয় কমিটির মেলবন্ধন তৈরীতে কমিটির সভাপতিকে সংস্থাটির বোর্ড অব গভর্ণরস’র সদস্য হিসেবে অর্ন্তভূক্ত করার তাগিদ দেওয়া হয়েছে।

কমিটি সূত্র জানায়, বৈঠকে গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারি, শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দান, পবিত্র মক্কা ও মদিনা মনোয়ারাতে সন্ত্রাসী হামলায় নিহতদের স্মরণে তাদের আত্মার মাগফিরাত ও শান্তি কামনা করে মোনাজাত ও এক মিনিটি নীরবতা পালন করা হয়। এরপর দেশের মসজিদগুলোতে সরবরাহকৃত জুমআর খুতবা বিষয়ে আলোচনা করেন কমিটির সদস্যরা।

তারা বলেন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের নির্ধারিত খুতবায় গুরুত্বপূর্ণ অনেক বিষয় বাদ পড়ে গেছে। এতে জঙ্গিবাদ বিষয়ে ইসলাম ধর্মের মর্মবাণীসহ দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভুতির বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। খুতবার বিষয়ে সংসদীয় কমিটির কোনো পরামর্শই নেওয়া হয়নি।

অথচ এর সঙ্গে স্থায়ী কমিটির সদস্যদেরও জবাবদিহিতার বিষয়টি জড়িত। কমিটি ভবিষ্যতে খুতবা নির্ধারনের বিষয়ে ইসলামিক ফাউন্ডেশনকে এককভাবে সিদ্ধান্ত না নিয়ে ধর্ম মন্ত্রণালয়সহ স্থায়ী কমিটিকে এর সঙ্গে সম্পৃক্ত করার জন্য মন্ত্রণালয়কে ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়। বৈঠকে হজের সর্বশেষ অবস্থা সম্পর্কে পর্যালোচনা করা হয়। ২০১৬ সালের হজ সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে পালনের জন্য মন্ত্রণালয় ও সংসদীয় কমিটি একসঙ্গে কাজ করার দৃঢ় অভিপ্রায় ব্যক্ত করে।

বৈঠকে হজের বিষয়ে কোন ধরনের অনিয়ম পরিলক্ষিত হলে কমিটির সবাই জিরো টলারেন্স প্রদর্শনের বিষয়ে ঐকমত্য পোষণ করে। এছাড়াও হাব সমন্বয় পরিষদের ব্যানারে যেসব এজেন্সি ২০১৬ সালের হজ বিষয়ে বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় বিবৃতি দিয়ে পবিত্র হজ কার্যক্রমকে বিতর্কিত করার অপপ্রয়াস গ্রহণ করেছে মন্ত্রণালয়কে তাদের বৈধতা ও আইনগত ভিত্তি খতিয়ে দেখা এবং তাদেরকে চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়। বৈঠকে কমিটির সদস্য মো. আসলামুল হক, এ কে এম এ আউয়াল (সাইদুর রহমান), সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী, মো. মকবুল হোসেন, মোহাম্মদ আমির হোসেন ও দিলারা বেগম এবং ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব মো. আব্দুল জলিলসহ সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

নিউজ ডেস্ক ।। আপডেট ০৮:৪৪ পিএম,২৪ জুলাই ২০১৬,রোববার
এইউ

Share