চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যাল লিমিটেড কোম্পানীর প্রস্তুুতকৃত ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ম্যাক্সসুলিন নামক ইনস্যুলিনের বিষয়ে অভিযোগ তুলেছে ব্যবহারকারীরা।
রোগীরা বলছে,পূর্বের চেয়ে ৩ ভাগের এক ভাগ ঔষধ কম দিয়েই একই মূল্য নির্ধারণ করে বিক্রি করা হচ্ছে। ফলে আমাদের পূর্বে যেখানে এক বোতল ম্যাক্সসুলিনে ১৫ দিন যেতো সেখানে বর্তমানে পরিমাণ কম দেওয়ায় মাত্র ১০দিন যাচ্ছে। এমন অভিযোগ তুলেছেন উপজেলার বিভিন্ন এলাকার ব্যবহারকারীরা।
৯ আগষ্ট সোমবার ফরিদগঞ্জ প্রেসক্লাবে স্ব-শরীরে উপস্থিত হয়ে হাছিনা আক্তার (৪০) নামের এক রোগী জানান, আমি ২০১৯ সাল থেকে বঙ্গবন্ধু মেডিকেলের চিকিৎসকের পরার্মশ মতে ইনসেপ্টা কোম্পানীর ম্যাক্সসুলিন ইনস্যুলিন ব্যবহার করে আসছি। আমি ২০১৯ এ একই মূল্যের ১০ মিলির একটি বোতল ৩৭০ টাকায় ক্রয় করে ১৫ দিন ব্যবহার করতাম। বর্তমানে মোড়কে একই পরিমাণ লিখা থাকলেও ঔষধের পরিমাণ ৩ ভাগের এক ভাগ কমিয়ে দেওয়া হয়েছে।
বিষয়টি স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও ঔষধ প্রশাসনের নজরদারীতে আনয়নের দাবী জানাচ্ছি। আমরা এভাবেই প্রতারিত প্রতিনিয়ত।
একই অভিযোগ উপজেলার ফরিদগঞ্জ সদর, রুপসা, কালির বাজার, চান্দ্রা, মুন্সির হাট, গৃদকালিন্দিয়াসহ প্রত্যন্ত অঞ্চলের রোগীদের।
এ বিষয়ে ইনসেপ্টার এরিয়া ম্যানেজার সিফাত হাছান ও প্রোডাক্ট ম্যানেজার মাজহারুল ইসলামের কাছে মোবাইল ফোনে জানতে চাইলে তিনি এই বিষয়ে পরিস্কার ভাবে আমরা কিছুই বলতে পারবো না বলে জানান।
ইনসেপ্টার প্রধান কার্যালয়ের ডেপুটি ম্যানেজার মোঃ হেদায়েত উল্যাহ্ জানান, আমাদের স্থানীয় রিপ্রেজেন্টটেটিভ (প্রতিনিধি)কে দিয়ে অভিযোগ কারীর ম্যাক্সসুলিনের বোতলটি সংগ্রহ করে অন্য একটি প্রদান করবো। তাছাড়া ওই বোতলটি আমাদের হেড অফিসে সংরক্ষণ করাসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
প্রতিবেদকঃ শিমুল হাছান, ৯ আগস্ট ২০২১