মতলব উত্তর

মতলব উত্তরে বর্ণাঢ্য আয়োজনে স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন

চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে পালিত হয়েছে।

কর্মসূচির মধ্যে ছিলো: ২৬ মার্চ রাত ১২.০১ মিনিটে ৩১বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসের শুভ সূচনা, সূর্যোদয়ের সাথে সাথে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং ব্যক্তি মালিকানাধীন ভবনসমূহে জাতীয় পতাকা উত্তোলন।

সকাল ৮টায় উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিফলকে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণে মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি ফলকে পূষ্পাস্তবক অর্পণ, কুচকাওয়াজ ও সালাম গ্রহণ, শিশু-কিশোরদের শরীরচর্চা ও ডিসপ্লে , মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা প্রদান ও আলোচন সভা ।

মতলব উত্তর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শারমিন আক্তারের সভাপতিত্বে সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মাহফুজুর রহমানের পরিচালনায় উদযাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চাঁদপুর ২ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব এডভোকেট নুরুল আমিন রুহুল।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন,১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ মধ্যরাতে বর্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী বাঙালি জাতির কণ্ঠ চিরতরে স্তব্ধ করে দেওয়ার ষডযন্ত্রে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে অপারেশন সার্চ লাইটের নামে নিরস্ত্র বাঙালির ওপর হামলা চালায়। অত্যাধুনিক অস্ত্রে সজ্জিত হয়েছে হামলার মাধ্যমে বাঙালি জাতির জীবনে বিভীষিকাময় যুদ্ধ চাপিয়ে দিয়েছিল।

দীর্ঘ নয় মাস মরণপণ লডাইরে মাধ্যমে বাংলার দামাল সন্তানেরা এক সাগর রক্তের বিনিময়ে সে যুদ্ধে বিজয় লাভ করে স্বাধীনতার লাল সূর্য ছিনিয়ে আনে। তিনি আরো বলেন, ১৯৭০-এর সাধারণ নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে জয়লাভ করা সত্ত্বেও বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কাছে পাকিস্তানি সামরিক জান্তা ক্ষমতা হস্তান্তর করেনি। উপরন্তু পাকিস্তানি সেনারা বাঙালি বেসামরিক লোকজকে নির্বিচারে গণহত্যা করে।

তাদের এ অভিযানের মূল লক্ষ্য ছিল আওয়ামী লীগসহ তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের প্রগতিশীল সকল রাজনৈতিক নেতা-কর্মী এবং সকল সচেতন নাগরিককে নির্বিচারে হত্যা করা। সেনা অভিযানের শুরুতেই হানাদার বাহিনী বঙ্গবন্ধুকে তার ধানমন্ডির বাসভবন থেকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারের আগে বঙ্গবন্ধু ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন এবং যেকোন মূল্যে শত্রুর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানান।

মূহূর্তের মধ্যেই বঙ্গবন্ধুর এ ঘোষণা ওয়্যারলেসের মাধ্যমে দেশে-বিদেশে ছডড়িযয়ে দেওয়া হয়।

এুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত বক্তব্য রাখেন, চাঁদপুর জেলার আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি, উপজেলা পরিষদে চেয়ারম্যান মনজুর আহমেদ, ছিলেন মতলব উত্তর উপজেলা পরিষদের নব নির্বাচিত চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ কুদ্দুস, উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী জাতীয় পরিষদের সদস্য রিয়াজ উদ্দিন মানিক, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এডভোকেট রুহুল আমিন, সাবেক শিল্প ব্যাংকের জিএম মুক্তিযোদ্ধা ওবায়েদ উল্লা, সহকারী কমিশনার ভূমি শুভাশিস ঘোষ, মতলব উত্তর থানার অফিসার্স ইনচার্জ মোঃ মিজানুর রহমান,

ওসি তদন্ত মোরশেদ আলম, উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি সহিদ উল্লাহ মাস্টার, সাবেক উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মুজাম্মেল হক, উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আইয়ুুব আলী গাজী, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গাজী ইলিয়াছুর রহমান, নব-নির্বাচিত ভাইস চেয়ারম্যান মোতাহার হোসেন সুফল, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শাহিনা আক্তার সহ মতলব উত্তরের সকল মুক্তিযোদ্ধা সহ আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

Share