ইটের বিকল্প চাহিদা মেটাচ্ছে কচুয়ার তরুণ উদ্যোক্তা কাউছার

চাঁদপুরের কচুয়ায় ইটের বিকল্প হিসেবে কংক্রিট ব্লকের চাহিদা দিনদিন বাড়ছে। কুচি-পাথর, সাধারণ বালু ও সিমেন্টের মিশ্রণে তৈরি কংক্রিট ব্লকের চাহিদা দিনদিন বাড়ছে। মাটি পুড়িয়ে তৈরি লাল ইটের চেয়ে এটি পরিবেশবান্ধব। ৩০ভাগ সাশ্রয়ী হওয়ায় বর্তমানে আবাসন থেকে শুরু করে নানান নির্মাণ কাজে এখন এই কংক্রিট ব্লকের চাহিদা তুঙ্গে।

এদিকে কচুয়া উপজেলার দূর্গাপুর গ্রামের অধিবাসী মৃত. আব্দুল লতিফের ছেলে তরুন উদ্যোক্তা কাউছার আলম গাজী দূর্গাপুর বাজারে ইটের বিকল্প চাহিদা হিসেবে গাজী এন্টারপ্রাইজ কংক্রিট ব্লক কারখানা স্থাপন করেছেন। পরিবেশ রক্ষায় আগামী ২০২৫ সাল থেকে লাল ইটের ব্যবহার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করার পরিকল্পনা আছে সরকারের। তার কংক্রিট ব্লক কচুয়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় রাস্তাঘাট,ওয়াল ও দালানকোঠা নির্মানে প্রতিদিন বিক্রি করা হচ্ছে। প্রতিদিন ওই কারখানায় ৪০০ থেকে ৫০০ কংক্রিট ব্লক তৈরি করেন শ্রমিকরা।

শ্রমিক আলম হোসেন,বাসার, মোস্তফা ও জাবেদ হোসেন জানান,বর্তমানে এ কারখানা থেকে অনেক জায়গায় এসব ব্লক সরবরাহ করা হয়। তার কারখানা স্থাপনের মাধ্যমে আমাদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে ।
গাজী এন্টারপ্রাইজ কংক্রিট ব্লকের পরিচালক ও উদ্যোক্তা মো. কাউছার আলম গাজী বলেন, বর্তমানে সারা দেশে ইটের পরিবর্তে বিকল্প হিসেবে কংক্রিট ব্যবহার করা হচ্ছে। যা কংক্রিট ব্লক পরিবেশ বান্ধব সাশ্রয়ী। পোড়া ইটের চেয়ে ৩০ ভাগ সাশ্রয়ী হিসেবে ব্যবহার যোগ্য হয়। কংক্রিটের হওয়ায় এটি মজবুত হয় এবং নির্মাণের স্থায়িত্ব বাড়ে।কংক্রিট ব্লক স্বল্পমূল্যে নিতে ০১৮৮৬৭৫৭৫২০ যোগাযোগ করার আহ্বান জানান তিনি।

কচুয়া উপজেলা প্রকৌশলী মো. আব্দুল লিটন বলেন, কংক্রিট ব্লকের দেয়ালের গাঁথুনিতে সিমেন্ট-বালু কম লাগে। এটি ব্যবহারে ভবনের ওজন কম হয় ও ভবন নির্মাণের সময়ও কম লাগে। সবাই কংক্রিট ব্লক ব্যবহারে আগ্রহী হলে দেশের জন্য পরিবেশ রক্ষা ও জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা সংক্রান্ত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সহজতর হবে।

প্রতিবেদক: জিসান আহমেদ নান্নু, ২৪ আগস্ট ২০২৩

Share