ইউপি সদস্যের মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন

চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার ১২নং আশরাফপুর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও মাসনীগাছা গ্রামের বাসিন্দা হাফেজ মো: ফজলুল হক মজুমদারের বিরুদ্ধে আদালতে দায়েরকৃত মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা করেছে এলাকাবাসী।

৩ মার্চ মঙ্গলবার বিকালে রহিমানগর-চাঙ্গিনী সড়কের মাসনীগাছা বাজার এলাকার মাসনীগাছা,রামপুর,বড়পাড়া ও কালচোঁসহ ৪ গ্রামের কয়েক শতাধিক মুসল্লী ও লোকজন প্রায় ঘন্টাব্যাপী এ মানববন্ধন করেন।

এসময় মাসনীগাছা মধ্য বাজারে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মাওলানা আবু সাঈদ, আওয়ামী লীগ নেতা সাইফুল ইসলাম চৌধুরী,মাসনীগাছা বাজার পরিচালনা কমিটির সেক্রেটারী মাওলানা মোজাম্মেল হোসেন, শ্রমিকলীগ নেতা জয়নাল আবেদীন,হাজী ইসমত আলী মজুমদার,জাহাঙ্গীর আলম ও ছাত্রলীগ নেতা ফরিদ হোসেন প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, ইউপি সদস্য হাফেজ ফজলুল হক মজুমদার একজন কোরআনে হাফেজ ও ভালো মানুষ। তিনি এলাকার সকল মানুষের বিপদে আপদে ছুটে যান। অথচ তাকে সামাজিক ভাবে হেয় করতে একই এলাকার বাদী আয়েশা বেগম কতিপয় লোকজনের প্ররোচনায় প্রকৃত সত্যকে আড়াল করে উদ্দেশ্য প্রনোদিত হয়ে ৩নং আসামী করে একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করে হয়রানি করছেন।

বক্তারা আরো বলেন, ইউপি সদস্য হাফেজ ফজলুল হক মজুমদার বিগত ইউপি নির্বাচনে দলমত নির্বিশেষে বিপুল ভোট পেয়ে ইউপি সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। পাশাপাশি তিনি মাসনীগাছা উচ্চ বিদ্যালয়ের দু’বারের সাবেক সহ-সভাপতি,মাসনীগাছা কেন্দ্রীয় বাইতুন-নূর-জামে মসজিদের সহ-সভাপতি, শানে মদীনা নূরানীয়া ও হাফেজিয়া মাদ্রাসার অন্যতম উপদেষ্টা সদস্য।

আমরা ইউপি সদস্য হাফেজ ফজলুল হক মজুমদারের বিরুদ্ধে আনীত মিথ্যা মামলা তদন্তপূর্বক অবিলম্বে প্রত্যাহারের জোর দাবি জানাই।

ইউপি সদস্য হাফেজ ফজলুল হক মজুমদার বলেন, বাদী আয়েশা বেগমের পারিবারিক ঝামেলা নিয়ে সম্প্রতি একটি সালিশ বৈঠক হয়। ওই বৈঠকে আমিও উপস্থিত ছিলাম। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ও ব্যক্তিগত আক্রোশের কারনে উল্টো আমার বিরুদ্ধে বিজ্ঞ আদালতে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছেন( যার মামলা নং- মো: নং-সিআর ৩৫/২০২০ইং)।

তিনি আরো জানান, আমি জনপ্রতিনিধি হিসেবে ওই বৈঠকে উপস্থিত হয়েছি। ওই ঘটনায় আমি কারো পক্ষে অবস্থান নেইনি। যা এলাকার সকলে অবগত রয়েছেন। যাহা আজকের এলাকার সর্বস্তরের মানুষের অংশগ্রহনে স্বর্ত:ফূর্ত ভাবে মানববন্ধন থেকে বুঝা যায়।

প্রতিবেদক : জিসান আহমেদ নান্নু, ৩ মার্চ ২০২০