চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার ৮নং কাদলা ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডে ৪০ দিনের কর্মসূচি কাজের নবনির্মিত রাস্তা কেটে ফেলা, ইউপি সদস্য সবুজ ফরাজীর ওপর হামলা-মারধর ও চাঁদা দাবির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ইউপি সদস্য মো. সবুজ হোসেন ফরাজী বাদী হয়ে একই এলাকার দুলাল হোসেন মজুমদারসহ ৬ জনের নাম উল্লেখ করে শনিবার কচুয়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
থানায় অভিযোগ ও স্থানীয় এলাকা সূত্রে জানা গেছে, কাদলা ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের তেগুরিয়া হইতে মুক্তার মজুমদারের বাড়ি হয়ে শাসনখোলা গ্রামের তাজুল ইসলামের বাড়ি পর্যন্ত ত্রান ও দুর্যোগ মন্ত্রনালয়ের (এলজিএসপি) আওয়াতায় একটি রাস্তার কাজ শুরু হয়।
গত ২৭ মে ইউপি সদস্য সবুজ হোসেন ফরাজী ওই রাস্তার কাজ করতে গেলে তেগুরিয়া গ্রামের দুলাল হোসেন মজুমদার দলবল নিয়ে সরকারি রাস্তা নির্মাণ কাজে বাধা দেয়। এক পর্যায়ে ইউপি সদস্য সবুজ ফরাজীর উপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে ফুলা জখম করে এবং বিভিন্ন ভাবে হুমকি-ধমকি প্রদর্শন করে। এসময় হামলা কারীরা তার সাথে থাকা নগদ ৬০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায় বলে অভিযোগে উল্লেখ করেন। এছাড়া নির্মানাধীন ওই রাস্তায় জোর পূর্বক মাটি সড়িয়ে ফেলে দেয় এবং বাশঁ ও টিন দিয়ে বেড়া দিয়ে রাস্তার নির্মাণ কাজ বন্ধ করে জন চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে।
অন্যদিকে একই দিন দুপুরে দুলাল মজুমদার তার আপন বড় ভাই আশেক আলী মাষ্টারের সম্পত্তি জোর পূর্বক দখলের চেষ্টা করে এবং এ নিয়ে উভয়ের সাথে তর্ক-বিতর্কের এক পর্যায় আশেক আলী মাষ্টারের বাড়িতে দুলাল মজুমদার দলবল নিয়ে হামলা-ভাঙচুর ও তাকে মারধর করে দাঁত ভেঙে ফেলে। ওই ঘটনায় আশেক আলী মাষ্টারের ছেলে জামাল হোসেন বাদী হয়ে দুলাল মজুমদারকে অভিযুক্ত করে চাঁদপুরের বিজ্ঞ আদালতে একটি মামলা দায়ের করেছেন।
এ ঘটনায় স্থানীয় জনসাধারনের মাঝে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এলাকাবাসী দুলাল মজুমদার গংদের খুটিঁর জোর কোথায় জানতে চেয়ে তার ও তার বাহিনীর দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। এদিকে অভিযুক্ত দুলাল মজুমদারের বক্তব্য জানতে তার মুঠোফোনে বারবার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
কচুয়া প্রতিনিধি, ৬ জুন ২০২৩