শতবর্ষী পুরানো জরাজীর্ণ ভবনেই চলছে চাঁদপুরের কচুয়ার ৬নং উত্তর ইউনিয়নের নাগরিক সেবা দান কার্যক্রম। অনেকটাই ঝুঁকি ও নানান প্রতিবন্ধকতার মধ্য দিয়ে বিগত ইউপি চেয়ারম্যানরা এ ভবনে নাগরিক কার্যক্রম পরিচালনা করেন। ইউনিয়ন পরিষদ ভবনের জায়গায় কম থাকায় সকল সেবা থেকে বঞ্চিত ছিলেন এ ইউনিয়নের সাধারন মানুষ। বিশেষ করে সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন কার্যক্রম পরিচালনায় অনেকটা হিমসিম খেতে হয় চেয়ারম্যান ও দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের।
এমন পরিস্থিতিতে গেল ৫ জানুয়ারি পঞ্চম ধাপে এ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে বিপুল ভোটে ইউপি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক এম. আখতার হোসাইন। তিনি নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি স্বরূপ তাঁর ইশতেহারে নির্বাচিত হলে কিংবা না হলেও অত্যাধুনিক মডেল ইউপি কমপ্লেক্স ভবন নির্মানে ২১শতাংশ জায়গা দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। যেই কথা সেই কাজ। নির্বাচিত হওয়ার কয়েক দিনের মাথায় এম. আখতার হোসাইন তার কথা রাখলেন। অর্থ ও ভবিষ্যতের কথা চিন্তা না করে ২১ শতাংশ জায়গা ইউপি ভবনের নামে দেয়ার ঘোষনা দেন।
স্থানীয় এলাকাবাসী ও প্রশাসনের মাধ্যমে ৬৮নং তেতৈয়া মৌজায় কচুয়া-সিংআড্ডা সড়কের পুরাতন ইউপি ভবনের উত্তর পাশে নিশকন্ঠক পৈর্তৃক ও ক্রয়সূত্রে প্রাপ্ত ২১ শতাংশ জায়গা মডেল ইউপি কমপ্লেক্স ভবনের জন্য প্রস্তাব করেন তিনি। তাঁর এমন সাহসিক উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন এলাকাবাসী। বর্তমান যুগে এমন সাহসিকতার জন্য এলাকাবাসীর প্রশংসায় ভাসছেন নব নির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যান এম. আখতার হোসাইন।
স্থানীয় অধিবাসী আবু সুফিয়ান,ডা. মনির,অলি উল্যাহ বিএসসি,আমির হোসেন মজুমদার,ইউপি সদস্য সাইফুল ইসলাম তালুকদার ও সাবেক ইউপি সদস্য সোহরাব মজুমদার বলেন, তেতৈয়া গ্রামটি ইউনিয়নের একটি মধ্যবর্তী জায়গায় অবস্থিত। ফলে এ স্থানে ইউপি ভবন নির্মান হলে পুরো ইউনিয়নের মানুষ সমতার ভিত্তিতে নাগরিক সেবা পাবে। তাই নব-নির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যান এম.আখতার হোসাইন যে উদ্যোগ নিয়েছেন তাঁর এ উদ্যোগকে আমরা অভিনন্দন জানাই।
নব নির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যান এম. আখতার হোসাইন চাঁদপুর টাইমসকে বলেন, মানুষের সেবা করার স্বপ্ন ছিল দীর্ঘদিনের। বর্তমান ইউপি ভবন নির্মাণে আমার বংশের লোকজন জায়গা দিয়ে সহায়তা করে গেছেন। সে ভবনে পূর্নতা দিতে জায়গা দিয়ে নতুন ভবনে নির্মাণে আমি সহায়তা করছি। সাধারন মানুষ নাগরিক সেবা পাবে এ উদ্দেশ্যেই জনপ্রতিনিধি হয়েছি। আমার একটু প্রচেষ্টায় কিংবা ত্যাগে সাধারন মানুষ ভালো থাকলে আমার সার্থকর্তা। এ ভবন নির্মাণ হলে একসাথে নাগরিক সেবা,ভূমি,স্বাস্থ্য,কৃষি,পরিবার- পরিকল্পনাসহ ইউপি পরিষদের নানান সেবা এক জায়গা থেকে পাওয়া যাবে। সকল সেবাদান ও নতুন ইউপি ভবন নির্মানে প্রশাসন,মিডিয়া ও এলাকাবাসীর সহযোগিতা চাই।
তিনি আরো বলেন, শপথ নেয়ার পর ইউনিয়ন পরিষদে সকলের মতামতের ভিত্তিতে একটি মডেল ও মাদক,সন্ত্রাসমুক্ত ইউনিয়ন গঠন করব। বিশেষ করে জনসাধারনের পাশাপাশি সাংবাদিকদের কল্যাণে ফান্ড গঠন করে সহযোগিতা করবো।
প্রতিবেদক: জিসান আহমেদ নান্নু,২৯ জুলাই ২০২২