হেফাজত ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব আল্লামা মামুনুল হককে গ্রেফতারের প্রতিবাদে কচুয়ার ৬নং উত্তর ইউনিয়ন পরিষদ ভবনের জানালা, সামনের দেয়াল, সরকারী সাইনবোর্ড ও আওয়ামী দলীয় নেতাকর্মীদের ব্যানার ফেস্টুন ভাঙচুর করা হয়েছে।
১৮ এপ্রিল রোববার রাত সাড়ে ৮টার দিকে প্রায় দেড় শতাধিক হেফাজত সমর্থক নেতাকর্মী একত্রিত হয়ে তেতৈয়া গ্রামে অবস্থিত ইউপি ভবনে এ হামলা ও ভাঙচুর করে।
এ ঘটনায় ৬নং উত্তর কচুয়া ইউপি সচিব মো. মফিজুর রহমান বাদী হয়ে সোমবার ১২ জনের নাম উল্লেখ ও ৪০/৫০ জনকে অজ্ঞাত আসামী করে কচুয়া থানায় একটি মামলা (১৬) দায়ের করেছেন। ওই মামলার আসামি হিসেবে ৩ জনকে আটক করেছে কচুয়া থানা পুলিশ।
গ্রাম পুলিশ নারায়ণ চন্দ্র বলেন, ঘটনার সময় আমি ইউনিয়ন পরিষদ ভবনের ভিতরে অবস্থান করছিলাম। হঠাৎ হেফাজত সমর্থীত নেতাকর্মীরা ইউপি ভবনের সামনে ও চারপাশে ভাঙচুর চালায়। তবে এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান কাজী জহিরুল ইসলাম জাহাঙ্গীর কোনো বক্তব্য দিতে রাজি হননি। তিনি জানান যা বলার পুলিশকে বলেছি।
ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সেক্রেটারী অ্যাড. এম. আখতার হোসাইন হেফাজত সমর্থিত নেতাকর্মী কর্তৃক আওয়ামী দলীয় ফেস্টুন ও ইউপি ভবন ভাংচুরের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান । পাশাপাশি অপর আসামীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানান।
ইউপি সচিব মো. মফিজুর রহমান বলেন, রোববার রাতে প্রায় দেড় থেকে দুই শতাধিক হেফাজত সমর্থিত নেতাকর্মী উজানী,দারচর ও খিড্ডা এলাকা থেকে আকস্মিক জড়ো হয়ে সরকারি ইউপি ভবনে রাষ্ট্রীয় মালামাল,দরজা-জানালা ও ভবন ভাংচুর করায় আমি কচুয়া থানায় মামলা দায়ের করি।
কচুয়া থানার ওসি মো. মহিউদ্দিন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, হেফাজত সমর্থীত নেতাকর্মীদের বিক্ষোভ মিছিলের খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে যাই। তাৎক্ষনিক ৩ জনকে আটক করা হয়েছে এবং মামলার অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতারের প্রচেষ্টা চলছে।
প্রতিবেদক:জিসান আহমেদ নান্নু,১৯ এপ্রিল ২০২১