মতলব দক্ষিণ

মতলবে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ

চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলায় জাটকা রক্ষা কর্মসূচির আওতায় কর্মহীন নিবন্ধিত জেলেদের জন্য বরাদ্দ করা চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।

৭ এপ্রিল মঙ্গলবার উপজেলার নায়েরগাঁও দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও এক সদস্যের বিরুদ্ধে ওই ইউনিয়নের একাধিক জেলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ করেন। এ ঘটনায় সেখানে চাল বিতরণ বন্ধ করে দেয় স্থানীয় প্রশাসন।

উপজেলার নায়েরগাঁও দক্ষিণ ইউনিয়নের মেহরন গ্রামের জেলে সুজন দাস, পল্লব দাস ও নিতাই দাস অভিযোগ করেন, তাঁদের এলাকায় গত সোমবার ওই চাল বিতরণ শুরু হয়। কিন্তু ওই চাল বিতরণে অনেক অনিয়ম করেন নায়েরগাঁও দক্ষিণ ইউপির চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল মামুন ও ইউপি সদস্য উত্তম কুমার দাস। তাঁরা নিয়ম লঙ্ঘন করে ৪০ কেজি করে না দিয়ে ৩৫ কেজি করে চাল দেন। ওই চাল বিতরণ বাবদ তাঁদের প্রত্যেকের কাছ থেকে ৫০ থেকে ১০০ টাকা আদায় করেন।

এ ছাড়া নিবন্ধিত অনেক জেলেকেই চাল দেওয়া হয়নি। এ নিয়ে স্থানীয় জেলে ও চেয়ারম্যানের লোকজনের লোকজনের সঙ্গে কয়েক দফা তর্কাতর্কি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এসব অনিয়মের বিচার ও তদন্ত চেয়ে আজ ইউএনওর কাছে লিখিত অভিযোগ করেন।

উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা মৎস্য কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, মার্চ মাস থেকে এপ্রিল পর্যন্ত জাটকা বা ইলিশ বিক্রি, পরিবহন, সংরক্ষণ ও বাজারজাতকরণের ওপরও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। ওই নিষেধাজ্ঞার ফলে মতলব দক্ষিণ উপজেলার সাড়ে পাঁচ হাজার জেলে কর্মহীন হয়ে পড়ে। পুনর্বাসন কর্মসূচির আওতায় এ উপজেলায় চালের বরাদ্দ আসে সাড়ে চার হাজার জেলের জন্য। এসব নিবন্ধিত জেলে মোট চারবার মাথাপিছু ৪০ কেজি করে চাল পাওয়ার কথা।

মতলব দক্ষিণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) স্বপন কুমার আইচ বলেন, খবর পেয়ে গত সোমবার বিকেলে ঘটনাস্থলে যান এবং উভয়পক্ষের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল মামুন ও সদস্য উত্তম কুমার দাস বলেন, সরকারি নির্দেশনা অনুসারে বরাদ্দ হওয়া ওই চাল প্রত্যেক নিবন্ধিত জেলের বাড়িতে পৌঁছে দিচ্ছেন। চাল কম দেওয়া বা জেলেদের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার অভিযোগ ভিত্তিহীন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফাহমিদা হক বলেন, একাধিক জেলে চাল বিতরণ নিয়ে অভিযোগ করেছেন। অভিযোগের পাওয়ার পর ওই ইউনিয়নে জেলেদের মাঝে চাল বিতরণ বন্ধ রাখা হয়েছে। অভিযোগের তদন্ত চলছে। ওই অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

স্টাফ করেসপন্ডেট,৭ এপ্রিল ২০২০

Share