নিজস্ব প্রতিবেদক \
চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার ১নং রাজারগাঁও ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ¦ আব্দুল হাদী মিয়ার বিরুদ্ধে সাড়ে চার কোটি টাকার টেন্ডারাবাজী অভিযোগ এনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বৈশাখী বড়–য়ার কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন এক ঠিকাদার।
সোমবার (১১ জুন) দুপুরে মেসার্স গাজী এন্টার প্রাইজের সত্ত¡াধীকারী গাজী নাছির উদ্দিন প্রকৃত ঠিকাদারের পক্ষে এ অভিযোগ করেন। অভিযোগে চলমান টেন্ডার বাতিল করে রি-টেন্ডারের দাবি জানা
লিখিত অভিযোগের অনুলিপি স্থানীয় সংসদ সদস্য (চাঁদপুর- ৫) মেজর অব. রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম, দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের প্রকল্প পরিচালক সওদাগর মুস্তাফিজুর রহমান, জেলা প্রশাসক মো. মাজেদুর রহমান খান, উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ¦ অধ্যাপক আবদুর রশিদ মজুমদার ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিমের কাছে প্রদান করা হয়েছে।
লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের আওতাধীন হাজীগঞ্জ উপজেলায় “গ্রামীণ রাস্তায় কম-বেশী ১৫ মিটার দৈর্ঘ্যরে ৪কোটি ৫৫লক্ষ ২৯হাজার ৫০৪ টাকার অনুমোদন পূর্বক ১৯টি সেতুর ব্রীজ/ কালর্ভাট নির্মাণ” প্রকল্পে জন্য স্মারক নং- ৫১.০১.০০০০.০৪১.১৪.০২০.১৬/২৭০৮ তারিখ ৮ মে ২০১৮খ্রি. এর মাধ্যমে ১০ মে ২০১৮খ্রি. প্রকাশিত আংশিক সংশোধিত দরপত্র অনুযায়ী গত ১০ জুন বিকাল ৩টা ৩০ পর্যন্ত দরপত্র বিক্রির শেষ তারিখ আহবান করা হয়। ওই দিন (১০ জুন রবিবার) উপজেলার রাজারগাঁও ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল হাদী মিয়া তার সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে সিডিউল ক্রয়-বিক্রয় বন্ধ রাখে এবং প্রকৃত ঠিকাদারদের সিডিউল ক্রয়ে বাধা প্রদান করে।
তারা দাবি করে বলেন, ‘ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল হাদী মিয়া তার বাহিনী দিয়ে ১৯ টি ব্রীজ/কালর্ভাট এর ১৫% হার নগদ বাবদ আনুমানিক ৬৮ লাখ ২৯ হাজার ৪২৫ টাকা হাতিয়ে নেয়। এতে সরকার সিডিউল বিক্রির প্রায় ১০লাখ টাকা রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হয়।যার ফলে উক্ত কাজগুলো নিন্মমানের হবে বলে আশংকা করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন মো. রেজাউল করিম বলেন, এমন একটি অভিযোগের অনুলিপি পেয়েছি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বৈশাখী বড়–য়া বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি নিয়ে আমরা তদন্ত করবো। তদন্তে প্রমানিত হলে পিডি বরাবর আমরা লিখবো।
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, হাজীগঞ্জ