মতলব উত্তরে ইউপি চেয়ারম্যানসহ নেতাকর্মীদের নামে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদ

চাঁদপুর মতলব উত্তরের জহিরাবাদ ইউপি চেয়ারম্যান গাজী সেলিম রেজা’ সহ স্থানীয় জন প্রতিনিধি ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলায় জড়ানো ও হয়রানির প্রতিতবাদে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জহিরাবাদ ইউপি চেয়ারম্যান গাজী সেলিম মিয়া।

মঙ্গলবার (২৭ জুলাই) দুপুরে উপজেলার নাওভাঙ্গা জয়পুর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে সংবাদ সম্মেলনে জহিরাবাদ ইউনিয়নের সর্বস্তরের জনগণের ব্যানারে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জহিরাবাদ ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি আমান উল-্যাহ, ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ সভাপতি আবু বক্কর সরকার, নেয়ামত উল্ল্যাহ সরকার, সাবেক ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর সরদার, আওয়ামী লীগ নেতা মুকুল প্রধান, সমাজসেবক আসলাম সরদার, আঃ রশিদ খান, আঃ মালেক সরদার প্রমূখ।
সংবাদ সম্মেলনে জহিরাবাদ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গাজী সেলিম মিয়া লিখিত বক্তব্যে বলেন, মেঘনা নদী ও আশেপাশের চর এলাকায় চুরি ডাকাতি ও অপকর্মের মাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ায় জনপ্রতিনিধি হিসেবে এলাকার যুবসমাজ কে নিয়ে একটি টিম গঠন করে মানুষের জানমাল নিরাপত্তায় কাজ করে আসছি।

তিনি জানান,২৪ জুলাই মেঘনা নদীর জহিরাবাদ এলাকায় জেলেদের উপর হামলা ও ডাকাতির প্রস্তুতি কালে এলাকার যুবকদের ধাওয়া খেয়ে ডাকাতদলের নেতা অসংখ্য মামলার আসামি মোহনপুরের কাজি মতিন ও শামীম বেপারীর নেতৃত্বে তাদের ব্যবহৃত নষ্ট হয়ে যাওয়া স্প্রীডবোট রেখেই জনরোষের হাত থেকে পালিয়ে যায়।
এলাকার যুবকরা নষ্ট হয়ে যাওয়া স্পীডবোট উদ্ধার করে নাওভাঙ্গা জয়পুর উচ্চ বিদ্যালযয়ের সামনে নিয়ে আসে।

খবর পেয়ে সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মতলব সার্কেল, মতলব উত্তর থানার অফিসার ইনচার্জ,মোহনপুর নৌ-পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ সন্ধ্যা থেকে রাত সাড়ে বারোটা পর্যন্ত স্পীড বোটের সামনে অবস্থান কালে আমি তাদেরকে বারবার বলেছি, স্পীডবোট উদ্ধার করেছি । আপনারা জব্দ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে থানায় নিয়ে যান। কিন্তু তা না করে তারা চলে যান।

পরদিন সকালে আমি মতলব উত্তর থানা ও মোহনপুর নৌ-পুলিশ ফাঁড়িতে জিডি করতে গেলে আমার জিডি গ্রহণ করেননি। বরং পুলিশের সহযোগিতায় ২৫ জুলাই নৌ ডাকাত দলের নেতা ও অসংখ্য মামলার পলাতক আসামি কাজি মতিন মতলব উত্তর থানায় আমাকে সহ এলাকার যুবকদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র মূলক মামলা দায়ের করে।

অথচ উদ্ধার করা স্পীডবোটের বিষয়ে জিডি করতে চাইলে ও করতে পারব না এটা কোন ধরনের আইন? স্প্রীডবোট উদ্ধার করার পরপরই পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এসে উদ্ধারকৃত স্প্রীডবোট থানায় না নিয়ে উল্টো আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হচ্ছে।

আমি জানতে চাই মানুষের জানমাল নিরাপত্তার জন্য ডাকাত চক্রের মোকাবিলা করা কি অন্যায়? পুলিশ বাহিনীর কাছে আহবান করবো সঠিক ও সত্যতা খুঁজে বের করেন ।নতুবা আইনশৃঙ্খলার অবনতি হবে । নৌ ডাকাতি বৃদ্ধি পাবে।

তিনি আরো বলেন,একটি মহল দীর্ঘদিন মেঘনা নদীতে বালি উত্তোলন করেনা বলে বেড়াচ্ছে ।অথচ আমার বিরুদ্ধে তাদেরই মিথ্যা মামলার অভিযোগে বালি উত্তোলন কাজে টহল দেওয়ার সময় স্পীডবোট চুরি করা হয়েছে বলে উল্লেখ্য করা হয়েছে। এবার আপনারা বিচার করুন নদীতে বালি উত্তোলন করা হয় কিনা?

আমি সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও প্রশাসনের কাছে জানতে চাই নৌ-ডাকাত চক্র প্রতিহত করতে গিয়ে আমার অপরাধ কোথায়? কেনো সবকিছু জেনেও মিথ্যা মামলা নিলো মতলব উত্তর থানা পুলিশ অবিলম্বে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে অসংখ্য মামলার পলাতক আসামি কাজী মতিনকে গ্রেফতারের অনুরোধ করছি।এতে পুলিশ বাহিনী সাধারণ জনগনের আস্থা ফিরে পাবে।

নিজস্ব প্রতিবেদক

Share