Home / উপজেলা সংবাদ / ফরিদগঞ্জ / ফরিদগঞ্জে হাম’লা’র ঘটনায় মা’ম’লা : উপজেলা চেয়ারম্যান ও প্রশাসনের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে
ইউপি চেয়ারম্যান

ফরিদগঞ্জে হাম’লা’র ঘটনায় মা’ম’লা : উপজেলা চেয়ারম্যান ও প্রশাসনের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে

চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ সাবেক এমপি ড. শামছুল হক ভূঁইয়া ও বর্তমান এমপি মুহাম্মদ শফিকুর রহমান গ্রুপের দ্বন্দ্ব থেকে সৃষ্ট হামলার ঘটনায় উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাড. জাহিদুল ইসলাম রোমান ও স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে।

তবে উপজেলা সদরে সাংসদ শফিকুর রহমানের নিজ ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান হারুনুর রশিদকে অতর্কিত হামলার ঘটনায় ১৪ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার দুপুরে থানায় মামলা হয়েছে।

ইউপি চেয়ারম্যান হারুনুর রশিদের ছোটভাই ঝুটন বাদী হয়ে উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান, যুগ্ম আহ্বায়ক হেলাল উদ্দিনসহ ১০ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ২৫ জনকে আসামি করে এ মামলা দায়ের করে।

অন্য আসামিরা হলো আলাউদ্দিন ভূঁইয়া, আব্দুল আজিজ, খাজা আহম্মেদ মজুমদার, জাহাঙ্গীর আলম, এস.এম টেলু, অপু শেখ, মো. কাশেম চৌকিদার, মো.রাব্বি। এরা সবাই ফরিদগঞ্জ উপজেলা যুবলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।

মামলার বাদী অভিযোগে উল্লেখ করেন, তার ভাই হারুনুর রশিদ বালিথুবা পূর্ব ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান। গত বৃহস্পতিবার উপজেলা পরিষদে আইনশৃঙ্খলা ও সমন্বয় কমিটির সভা শেষে নিজ এলাকায় ফেরার পথে প্রতিপক্ষ ধারালো অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ফরিদগঞ্জ বাজারে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা করে। এতে চেয়ারম্যান হারুন গুরুতর জখম হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

আরও পড়ুন- ফরিদগঞ্জে ইউপি চেয়ারম্যানকে কুপিয়ে জখম : যানবাহন ভাংচুর

এদিকে, গত বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর পঙ্গু হাসপাতালে চাঁদপুর জেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক, ফরিদগঞ্জ বালিথুবা পূর্ব ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হারুনুর রশিদকে ভর্তি করা হয়। তার বাম হাতের তিনটি আঙুল বিচ্ছিন্ন প্রায়। শরীরের বিভিন্নস্থানেও গুরুতর আঘাত রয়েছে। পরে আরো উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

অন্যদিকে, চেয়ারম্যান হারুনুর রশিদের সঙ্গে আহত যুবলীগ নেতা মহসিন তপাদার চাঁদপুর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

মামলা প্রসঙ্গে ফরিদগঞ্জ থানার ওসি আবদুর রকিব জানান, চেয়ারম্যান হারুনুর রশিদের ছোটভাই ১০ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ২৫ জনের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টার একটি অভিযোগ দিয়েছেন। এই মামলার তদন্ত এবং আইনগত ব্যবস্থা নিতে এসআই আব্দুল আওয়ালকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তবে আসামিদের গ্রেপ্তার নিয়ে ওসি কোনো মন্তব্য করেননি।
এ বিষয়ে কথা বলতে উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাড. জাহিদুল ইসলাম রোমানের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। প্রতিবেদক : শিমুল হাছান, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০