দুই মাস চিকিৎসা শেষে মুক্ত আকাশে পাখা মেলল সেই আহত ঈগল। মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার নহাটা ইউনিয়নের খর্দ ফুলবাড়ি সড়কের পাশ থেকে উদ্ধার হওয়া সেই বিরল প্রজাতির ঈগলটি দীর্ঘসময় ধরে চিকিৎসা শেষে সুস্থ্য হয়।
বিরল প্রজাতির ঈগল পাখিটি অবমুক্ত করেছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: শাহীন হোসেন। গত ১১ ফেব্রুয়ারি উপজেলার নহাটা এলাকা থেকে আহত ঈগলটি গ্রামের শিশুদের কাছ থেকে উদ্ধার করেন।
মহম্মদপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: শাহীন হোসেন জানান, ঘটনার দিন (১১ফেব্রুয়ারি) বিকেল চারটারদিকে তিনি দাপ্তরিক কাজে গাড়িতে করে নহাটারদিকে যাচ্ছিলেন। পথে খর্দফুলবাড়ি এলাকার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে জটলা দেখতে পেয়ে গাড়ি থামান।
এসময় একদল শিশুরা পা বাঁধা অবস্থায় ঈগল প্রজাতির বড় একটি পাখি নিয়ে টানা-হেচড়া করছিল। স্থানীয়দের সহায়তায় তিনি পাখিটি উদ্ধার করে তার বাস ভবনে নিয়ে আসেন।
উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডা. মোঃ গোলাম মোস্তফার তত্ত্বাবধানে তার বাসভবনের একটি কক্ষে পাখিটির চিকিৎসা চলে। প্রায় দুই মাস চিকিৎসা চলার পর ঈগলটি সুস্থ্য হয়ে উঠে।
অবমুক্তির সময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: শাহীন হোসেন, ঊর্মি হোসেন, উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডা. মোঃ গোলাম মোস্তফা, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ আতিকুল ইসলাম, মৎস কর্মকর্তা মীর লিয়াকত হোসেন, আলী রেজা খোকন ও স্থানীয় সংবাদকর্মীবৃন্দ।
মহম্মদপুর উপজেলা উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডা. গোলাম মোস্তফা জানান,‘পাখিটি শিকারি ঈগল প্রজাতির। বিরল এই পাখি এখন আর দেখা যায় না। বিল এলাকায় মাছ খেয়ে জীবন ধারন করে। খাবার ও বসবাসের পরিবেশ না থাকায় ঈগল প্রজাতির পাখিগুলো বিলুপ্তের পথে।
পাখা ছড়ানো অবস্থায় পাখিটির দৈর্ঘ্য চার ফুটের বেশি। ছাই রঙের পালকের মধ্যে সাদা ডোরাকাটা দাগ রয়েছে। কোন কারণে গুরুতর আহত হয়ে পাখিটি শিশুদের হাতে ধরা পড়ে বলে ধারণা করা হচ্ছে। উদ্ধারের সময় গুরতর আহত ছিল। দুই মাস ধরে চিকিৎসা চলার পর পাখিটি উড়তে সক্ষম হয়।
মহম্মদপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: শাহীন হোসেন বলেন,‘পাখিটি সুস্থ্য হয়ে তার আবাসস্থলে ফিরে যাওয়ায় আমরা সবাই খুশি।’
মাগুরা থেকে মোঃ ইমাম হোসেন : আপডেট ৮:১৬ পিএম, ০১ মে ২০১৬, রোববার
ডিএইচ