বৃহস্পতিবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন একনেক সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এছাড়া, চলমান পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পের জন্য অতিরিক্ত ১ হাজার ১৬২ দশমিক ৬৭ হেক্টর জমি অধিগ্রহণ করতে আরো ১ হাজার ৪০০ কোটি টাকা বরাদ্দসহ ১৪টি প্রকল্প ছাড় করেছে একনেক।
বৈঠক শেষ পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল সাংবাদিকদের বলেন, ‘একনেক বৈঠকে ১৫টি প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। যাতে আনুমানিক ব্যয় ধরা হয়েছে ১৮ হাজার ৩৭২ কোটি ২৪ লাখ টাকা।’
অনুমোদিত প্রকল্পগুলোর মধ্যে নয়টি নতুন এবং বাকিগুলো সংশোধিত প্রকল্প।
মন্ত্রী জানান, পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পের জন্য আরো ১ হাজার ৪০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। সেতু এলাকায় নদী ব্যবস্থাপনা কাজে সাময়িকভাবে ২৫ বছরের জন্য আরো জমি অধিগ্রহণ করতে হবে বলে এই অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে।
পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পটি (২য় সংশোধিত) আনুমানিক ২৮ হাজার ৭৯৩ কোটি ৩৮ লাখ টাকা ব্যয়ে ফাস্ট ট্রাক প্রকল্প হিসেবে বাস্তবায়িত হচ্ছে। আগামী ডিসেম্বর নাগাদ এ প্রকল্প শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। প্রকল্প কাজের পাঁচটি অংশের মধ্যে জাজিরা সংযোগ সড়ক, মাওয়া সংযোগ সড়ক ও সার্ভিস এরিয়া-২ নির্মাণ ইতিমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। বর্তমানে মূল সেতু নির্মাণ ও নদীশাসন কাজ চলমান রয়েছে।
ই-পাসপোর্ট প্রকল্প নিয়ে মন্ত্রী জানান, আন্তর্জাতিক চাহিদা পূরণে মেশিন রিডেবল পাসপোর্টের (এমআরপি) পাশাপাশি ই-পাসপোর্ট ইস্যু অনুমোদন করা হয়েছে। কারণ জার্মানিসহ কিছু দেশ এমআরপি গ্রহণ করে না।
‘বাংলাদেশ ই-পাসপোর্ট ও স্বয়ংক্রিয় সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাপনা প্রবর্তন’ শীর্ষক এ প্রকল্পটি সরকারি অর্থায়নে ২০১৮ সালের জুলাই থেকে ২০২৮ সালের জুনের মধ্যে বাস্তবায়ন করা হবে বলে জানান মন্ত্রী