গৃহহীন পরিবারের বাসস্থানের সুযোগ সৃষ্টিতে আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ এর আওতায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে নির্মিত চাঁদপুর হাইমচর উপজেলার নিউচর সম্প্রসারণ আশ্রয়ণ প্রকল্প হস্তান্তর করা হয়েছে।
৯ জুন বুধবার বিকেলে হাইমর নিলকমল ইউনিয়নের নিউচরে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপজেলা প্রশাসনের হাতে এই আশ্রয়ন প্রকল্পের চাবি হস্তান্তর করা হয়।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৩৩ পদাতিক ডিভিশনের তত্ত্বাবধানে, ৪৪ পদাতিক ব্রিগেডের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় এবং কুমিল্লা সেনানিবাস ৩ বীরের তত্ত্বাবধানে ১৪০টি পরিবারের জন্যে এই আশ্রয়ন প্রকল্পটি নির্মাণ করা হয়।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে কুমিল্লা সেনানিবাসের মেজর মো. তাসনিম ফরহাদ বলেন, আশ্রয়ণের অধিকার, শেখ হাসিনার উপহার এই স্লোগানে সরকার গৃহহীন পরিবারের বাসস্থানের সুযোগ সৃষ্টিতে আশ্রয়ণ প্রকল্প তৈরী করেছে। এই প্রকল্পের আওতায় আজকে এই চর এলাকায় সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে নির্মিত আশ্রয়ণ প্রকল্পটি উপজেলা প্রশাসনের কাছে হস্তান্তর করা হলো।
তিনি বলেন, এখানে ১৪০টি ভূমিহীন পরিবারের আশ্রয়নের সুযোগ পাবে। পাশাপাশি এই অঞ্চলের আর্থসামাজিক উন্নয়নে এই আশ্রয়ন প্রকল্প ভূমিকা রাখবে।
সমাপনি বক্তব্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা চাই থোয়াইন চৌধুরী বলেন, অতন্ত পরিচ্ছন্ন ভাবে এই প্রকল্পটির কাজ সম্পন্ন করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। এজন্যে আমরা উপজেলা প্রশাসন থেকে তাদের ধন্যবাদ জানাই। তারা গুণগত মান বজায় রেখে কাজ করেছেন।
তিনি বলেন, এখানে নদী ভাঙনের শিকার এবং অসহায় ভূমিহীন পরিবার নিজেদের বসস্থান পেলো। এটি সরকারের একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। দেশকে এগিয়ে নিতে আমরা সবাই সবার জায়গা থেকে সহযোগীতা করবো। তবেই একটি সুন্দর বাংলাদেশ গড়ে তোলা সম্ভব।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, কুমিল্লা সেনানিবাসের ক্যাপ্টেন মেহেদি হাসান, হাইমচর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আমিনুর রশিদ, স্থানীয় সরকার উপ-সহকারি প্রকৌশলী মাসুদুর রহমান, ঠিকাদার মো. জাকির হোসেন।
সেনাবাহিনী সূত্র জানায়, হাইমচর উপজেলার নিউচর একটি প্রত্যন্ত অঞ্চল। ওই এলাকার গৃহহীনদের আশ্রয় প্রদানের লক্ষ্যে চলতি বছরের ১ এপ্রিল এই প্রকল্পের নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ৫ ইউনিট বিশিষ্ট ২৮টি সিআইসিট ব্যারাক হাউজে মোট ১৪০টি পরিবার বসবাস করতে পারবে। এই প্রকল্পের দৈর্ঘ্য ৪৭০ ফুট এবং প্রস্থ ৪০০ ফুট। আশ্রয়ন শেডের সংখ্যা ২৮টি।
প্রতিটির দৈর্ঘ্য ৪৫ ফুট ও প্রস্থ ২৯ ফুট। শেডগুলোর প্রতিটি মেঝে পাকা ও সম্পূর্ণ টিনে দ্বারা আচ্ছাদিত। বসবাসকারী পরিবারের সুবিধার্থে মোট ৮৪টি টয়লেট ও বিশুদ্ধ পানির জন্য ২৮টি অগভীর নলকূপ স্থাপন করা হয়েছে। গত ২২ মে এই প্রকল্পের কাজটি সম্পন্ন হয়।
প্রতিবেদক:আশিক বিন রহিম, মো.ইসমাইল,৯ জুন ২০২১