Home / সারাদেশ / ‘আশা করি পত্রিকাগুলো এসব আর লিখবে না’
‘আশা করি পত্রিকাগুলো এসব আর লিখবে না’

‘আশা করি পত্রিকাগুলো এসব আর লিখবে না’

চাঁদপুর টাইমস ডেস্ক:

মেয়েদের বিয়ের বয়স কমানোর বিতর্ক নিয়ে খানিকটা বিরক্ত মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি। গণমাধ্যমে এ নিয়ে বারবার খবর প্রকাশিত হওয়া নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেছেন তিনি।

তিনি বলেছেন, ‘বাল্যবিবাহ নিরোধকল্পে একটা আইন হতে যাচ্ছে। এই আইনে নারীর বিয়ের বয়স ১৮ বছরই থাকবে। অনেক সময় পত্র-পত্রিকায় মেয়েদের বিয়ের বয়স ১৫-১৬ বছর করা হবে বলে উল্লেখ করা হয়। আশা করি আজকের এই ঘোষণার পর পত্র-পত্রিকাগুলো এধরনের কোনো কিছু আর লিখবে না।’

মঙ্গলবার দুপুরে কুইন্স হল, স্পেকট্রা কনভেনসন সেন্টার গুলশানে জেন্ডার জাস্টিস অ্যান্ড ডাইভারসিটি, ব্র্যাকের আয়োজনে বাল্যবিবাহ নির্মূলকরণে করণীয় বিষয়ক এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমান সরকার নারীবান্ধব। তাই নারীবিরোধী কোন আইন তারা করবে না। ১৮ বছর যে রায় আছে সেটাই থাকবে। ১৮ বছরেই আমরা আছি।’

তবে প্রতিমন্ত্রী ইরানের উদাহরণ তুলে ধরে বলেন, ‘ইরানে বিয়ের বয়স ১৩ বছর। তবে অভিভাবকেরা শিক্ষিত এবং সচেতন হওয়ায় ২০ বছর বয়সের আগে বিয়ে দেন না। বাংলাদেশেও এ ধরনের ঘটনা ঘটবে।’

এনজিও প্রতিনিধিসহ সভায় উপস্থিতদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘অনেক সময় পত্রপত্রিকায় বলছেন বিয়ের বয়স ১৫ বা ১৬ বছর। ১৬ বছরের কথাই বেশি বলা হচ্ছে। বারবার বললে ভাব আসবে, বিয়ের বয়স কমে যাবে বোধ হয়।’

নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে অনেক মেয়েদের বয়স বাড়িয়ে বাল্য বিবাহের ব্যবস্থা করে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘বয়সের ব্যাপারে নোটারি পাবলিকের সকল কার্যক্রম বন্ধ করা হবে।’

এসময় সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধুরী বলেন, ‘যেখানে সংবিধান ১৮ বছরের আগে ভোটার অধিকার দেয় না সেখানে আমরা কিভাবে ১৮ বছরের আগে নারীদের সংসারের দায়িত্ব দিতে পারি। ১৮ বছর বিয়ের বয়স এই আইন চাই। এর মধ্যে কোন কিন্তু, যদি, তবে চাই না।’

জেন্ডার জাস্টিস অ্যান্ড ডাইভারসিটির প্রোগ্রাম ম্যানেজার শিপা হাফিজের সঞ্চালনায় এবং ব্র্যাকের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর মো. মুসার সভাপতিত্বে এসময় আরো বক্তব্য দেন- মহিলা পরিষদের চেয়ারপারসন আয়েশা খানম, প্লান ইন্টারন্যাশনালের তানিয়া জামান, সাংবাদিক ফারজানা রুপা, দেশের বিভিন্ন এলাকার ইউনিয়র পরিষদের চেয়ারম্যান, কাজী, মসজিদের ইমাম, পুরোহিত প্রমুখ।